রাবি শিক্ষার্থীদের নতুন হলে আসন মিলবে ডিসেম্বরেই
রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত ১০তলা আবাসিক হল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রায় ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১০তলা আবাসিক হলের কাজ শেষে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা দেওয়া হবে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক এসএম ওবায়দুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, হলটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। পরে বেশ কয়েকবার মেয়াদ বৃদ্ধির পর ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা স্থির করেছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মাজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। ২৪ হাজার বর্গমিটার জায়গা নিয়ে নির্মিত হচ্ছে উন্নতমানের এই হলটি। ১০ তলাবিশিষ্ট ভবনে বিভিন্ন রকম সুবিধা সম্বলিত ছয়টি ব্লক থাকবে, যেখানে ১১ শতাধিক শিক্ষার্থী আবাসিকতা পাবেন।
এদিকে, বিগত প্রশাসন হলটির নামকরণ করেছিলেন শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হল তবে জুলাই আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীরা হলটির নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রাখেন সাকিব-রায়হান হল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে এখনো হলটির চূড়ান্ত নাম নির্ধারণ করা হয়নি।
এ হলটি ছাড়াও ১০তলা শেখ হাসিনা হল, ২০তলা অ্যাকাডেমিক বিজ্ঞান ভবন ও ১০তলা শিক্ষক কোয়ার্টারের কাজ চলমান রয়েছে।
রাবি কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, নতুন এ হলটি হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সব থেকে বড় আবাসিক হল। হলটিতে ৫৯৮টি কক্ষ রয়েছে, যার সবকটি কক্ষই হবে দুই আসন বিশিষ্ট। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্তে থাকছে চারটি লিফটের ব্যবস্থা। পাশাপাশি থাকছে চারটি প্রশস্ত সিঁড়ি, জেনারেটর, ডিপ টিউবওয়েল, বিশাল আকৃতির মসজিদ, আধুনিক ডিজাইনে নির্মিত প্রায় ৩ শতাধিক আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম। দ্বিতীয়তলায় থাকছে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের লাইব্রেরি, ইনডোর কক্ষ, জিমনেসিয়াম, রিডিং রুম। নিচতলায় থাকছে গ্রিণ জোন ও শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী দোকান। এছাড়াও পুরো হলটি থাকবে সিসিটিভি ক্যামারার আওতায়, যা কন্ট্রোল করার জন্য আইটি নামে আলাদা একটি কক্ষও থাকবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক এসএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “জুলাই বিপ্লবের পর বর্তমান প্রশাসনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন করা ছিল অন্যতম। এরই অংশ হিসেবে প্রায় ৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন কামরুজ্জামান হলের কাজ প্রায় শেষের দিকে, যা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে হলটি শিক্ষার্থীদের ব্যবহারে উপযোগী হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দিন বলেন, “৫ আগস্টের পর নির্মানাধীন হলটির কাজ স্থবির হয়ে পড়ে। পরে বর্তমান প্রশাসন টিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে আবারো কাজ শুরু করেন। নির্মাণাধীন হলটিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও ভিজিট করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারে উপযোগী করে দেওয়া হবে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী