ঢাকা     বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ছাড়পত্র না পাওয়ায় চীনের উচ্চশিক্ষা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণে অনিশ্চিয়ত ২ উপাচার্যের

শাবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ৫ জুলাই ২০২৫   আপডেট: ১৬:৫৪, ৫ জুলাই ২০২৫
ছাড়পত্র না পাওয়ায় চীনের উচ্চশিক্ষা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণে অনিশ্চিয়ত ২ উপাচার্যের

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো।

সরকারী ছাড়পত্র (জিও) না পাওয়ায় শেষ মুহূর্তে চীনে একটি উচ্চশিক্ষা প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের।

তারা হলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক হায়দর আলী।

আরো পড়ুন:

শনিবার (৫ জুলাই) বেলা ১১টায় শাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফয়েজ চীনের উচ্চশিক্ষা অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি দলের প্রধান। ২০ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব প্রমুখ।

আগামী ৬ থেকে ১১ জুলাই চীনের কুনমিং, উহান, গঞ্জু প্রদেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্রমণ ও চুক্তিপত্র  স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে চীন সরকারের শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

গত জুনে প্রতিনিধিদলের সদস্যদের পক্ষ থেকে চীনে যাওয়ার জন্য সরকারি ছাত্রপত্রের জন্য আবেদন করা হয়। গত কয়েকদিনে সবার ছাড়পত্র হলেও ওই দুইজন উপাচার্যের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। এতে তাদের চীনের উচ্চশিক্ষা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। 

এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী জানান, তিনি গত ২৫ জুন আবেদন করেছিলেন। তবে এখনো তার ছাড়পত্র অনুমোদন হয়নি।

শাবিপ্রবির উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “চীনের এই উচ্চশিক্ষা প্রোগ্রামে জয়েন করতে গত ২৩ জুন আবেদন করেছি। এখনো জিও লেটার পাইনি। আমরা অপেক্ষায় আছি। সরকারের অনুমোদন পেলে যাব।”

ছাড়পত্র নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) নুরুন আখতার গনমাধ্যমকে বলেন, “গত বৃহস্পতিবার আমরা সামারি তৈরি করে রেখেছি। আচার্যের কাছ থেকে এখনো অনুমোদন আসেনি। তাই আমরা অনুমোদন দিতে পারছি না।”

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়