৭১ এর গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে চবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের বিক্ষোভ
চবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
৭১ এর গণহত্যায় জড়িতদের নায়ক হিসেবে উপস্থাপনের হীনচেষ্টা এবং চব্বিশের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার না করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন জোটের নেতাকর্মীরা।
মিছিলে নেতাকর্মীদের ‘একাত্তরের শত্রু যারা, বাংলাদেশের শত্রু তারা’, ‘রাজাকারের গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’, ‘মা মাটি মোহনা, রাজাকারের হবে না’, ‘একাত্তরের গাদ্দার, হাসিনা ও রাজাকার’, ‘চব্বিশ হারে না, হেরে যাবে রাজাকার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
কর্মসূচিতে চবি বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক জশদ জাকির বলেন, “গত ৫ জুলাইয়ের পর আমরা এ স্লোগানটি এনেছিলাম যে, চব্বিশ ও একাত্তরের শত্রু যারা, বাংলাদেশের শত্রু তারা। অন্তবর্তী সরকারের সবচেয়ে সুবিধাভোগী হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। চবি প্রশাসনও যে জামায়াতের প্রশাসন, এটা অপেন সিক্রেট। চট্টগ্রামের সবচেয়ে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর ছবি এখন চবিতে দেখা যায়। জুলাইয়ের আগে তারা এটা করতে পারেনি।”
তিনি বলেন, “গতকাল (৫ আগস্ট) যুদ্ধাপরাধীদের ছবি টাঙানো হয়েছে জুলাইয়ের শহীদদের সাথে। তারা বলছে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীরা জুলাইয়ের শহীদদের মতোই ত্যাগী ছিলেন। তারা যে ন্যারেটিভই দাঁড় করাতে চাচ্ছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
চবি নারী অঙ্গনের সংগঠন সুমাইয়া শিকদার বলেন, “গতকাল একাত্তরকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চালিয়েছে শিবির। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো একাত্তরকে মুছে ফেলার পায়তারা করছে। আমি হুঁশিয়ারি করতে চাই, একাত্তর আমাদের স্বাধীনতার ভিত্তি। আপনারা কখনো চব্বিশ দিয়ে একাত্তরকে মুছতে পারবেন না।”
এ সময় ছাত্রশিবিরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা যতই লেজুড়বৃত্তি করে থাকেন, আপনাদের আমরা অন্যায় পায়তারা করতে দেব না। বাংলার মাটিতে রাজাকারের ঠাঁই দেব না।”
চবি বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক মাহিদুল ইসলাম ইবাদ বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাকে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা দরকার। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে আরেক নব্য ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর ছবি টাঙিয়ে যে নায়ক সাজানো হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একটা অপরাধ দিয়ে আরেকটা অপরাধকে কখনো মুছে ফেলা যায় না।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী