ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট, প্রশ্ন করায় সাংবাদিককে হুমকি

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২৯, ১৪ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ২২:৪০, ১৪ আগস্ট ২০২৫
নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট, প্রশ্ন করায় সাংবাদিককে হুমকি

তুসিবা এন্টারপ্রাইজের ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির (ডানে)।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠের নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

এ নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তুসিবা এন্টারপ্রাইজের ইঞ্জিনিয়ার সাব্বিরের বিরুদ্ধে ওই সাংবাদিককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আরো পড়ুন:

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোমিন ইসলাম ‘আমার বার্তা’র নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনের অংশে চলমান নির্মাণ কাজ চলাকালে এ হুমকি দেওয়াার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মোমিন ইসলামের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, চলাচলের জন্য নির্মাণাধীন স্থাপনায় ব্যবহৃত অধিকাংশ ইটই নিম্নমানের। ওই ইটের বিষয়ে খোঁজ নিতে যান ‘আমার বার্তা’র নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোমিন ইসলামসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। এ সময় ছবি তুলতে গেলে ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির সাংবাদিক মোমিনকে হুমকি দিয়ে বলেন, “এতোদিন আমাদের ছবি তুলে ভাইরাল করেছেন, আজ আপনার ছবি আমরা তুলছি।” পাশাপাশি প্রতিবেদনের বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন, “ভালো করে লিখিয়েন, বেশি করে লিইখেন, যা পারবেন কইরেন।”

হুমকির বিষয়ে সাংবাদিক মোমিন ইসলাম, “কেন্দ্রীয় মাঠের নির্মাণকাজের নিম্নমানের ইটের ব্যবহার করা নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তুসিবা এন্টারপ্রাইজের ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির আমাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘এতদিন আপনারা আমাদেরকে ভাইরাল করেছেন, আজ আপনাকে আমরা ভাইরাল করি। আপনি তো সারাজীবন আমগোর ছবি তুল্লেন, আজ আপনার টা তুলি।’ এরপর সে তার মুঠোফোনে আমার ছবি ধারন করে এবং নিউজের বিষয়ে ব্যঙ্গ করে।”

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিক সিরাজউদ্দীন দাবি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের অনুমতিতেই কাজ চলছে। তারা মাঝে মাঝে এসে দেখাশোনা করে যায়। তারা অনুমতি না দিলে আমরা কি কোনো কাজ করতে পারি?”

প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী পরিচালক মো. রাহাত হাসান দিদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সহকারী প্রকৌশলী (ইনস্ট্রিুমেন্ট) মিজানুর রহমানকে ঘটনাস্থলে পাঠান। নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করলেও মিজানুর রহমান এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

পরে নির্বাহী পরিচালক রাহাত হাসান দিদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিম্নমানের ইট দিয়ে নির্মাণকাজ তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) সৈয়দ মোফাছিরুল ইসলাম বলেন, “নতুন ঠিকাদার বলে হয়তো এমন বলছে। আমি ইতোমধ্যে ইঞ্জিনিয়ার দপ্তরের মাহবুব স্যারকে বলেছি, মনিটরিং টিম দিনে অন্তত দুই-তিনবার পাঠাতে হবে। ঠিকাদারকে আগামী রবিবার একটি চিঠিও পাঠানো হবে।”

তবে সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকারী ইঞ্জিনিয়ার সাব্বিরের বিষয়ে তিনি বলেন, “আজ আমরা বলে দিয়েছি, পরেরবার আর যেন এমন না করে। আর এগুলো ছোটখাটো বিষয়, প্রথমবার বলে ক্ষমা করে দেওয়াই ভালো।”

ঢাকা/মুজিবুর/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়