ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থীদের ১৩ শতাংশ নারী
ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নির্বাচনে মোট ৫০৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এর মধ্যে, ৪৬২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ বলে গৃহীত হয়েছে। বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৪০২ জন এবং ছাত্রী মাত্র ৬০ জন। অপরদিকে ৪৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
এছাড়া, হল সংসদে ১ হাজার ১০৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ১০৮ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। মাত্র একজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত এ তালিকায় ছেলে প্রার্থীদের তূলনায় নারী প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নাম মাত্র। মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেক নারী হলেও মোট ৪৬২ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র ৬০ জন নারী। শতাংশের হিসেবে যা মোট প্রার্থীর মাত্র ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে পুরো ৮৭ শতাংশ প্রার্থীই ছেলে।
প্রাথমিক তালিকা অনুযায়ী এবারের কেন্দ্রীয় সংসদের তিনটি পদে কোন নারী প্রার্থীকেই লড়তে দেখা যাবে না। এ পদগুলো হলো সমাজসেবা সম্পাদক, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক। এছাড়া সাধারণ সম্পাদকসহ (জিএস) মোট চারটি পদে মাত্র একজন করে নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বাকি পদগুলো হলো, মুক্তিযুদ্ধ ও ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক। তবে ব্যতিক্রম হিসেবে কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে সবচেয়ে বেশি নারী প্রার্থীদের লড়তে দেখা যাবে। এই পদে মোট ১১ জন প্রার্থীর ৯ জনই নারী।
ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৮ জনের মধ্যে ৪৩ জনই ছেলে প্রার্থী এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৮ জন প্রার্থীর চারজন মেয়ে প্রার্থী বৈধ হিসেবে গণ্য হয়েছেন। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে নয়জনের মধ্যে মাত্র দুজন মেয়ে। মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ১১ জনের মধ্যে তিনজন নারী প্রার্থী পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জনের মধ্যে তিনজন নারী। গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১১ জনের মধ্যে চারজন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জনের মধ্যে দুইজন এবং সদস্য পদে ২১৫ জনের মধ্যে মাত্র ২৪ জন নারী প্রার্থী লড়াই করবেন।
হল সংসদেও মাত্রাতিরিক্ত অনাগ্রহ দেখা গেছে ছাত্রীদের। কেন্দ্রীয় সংসদের মতো হল সংসদের প্রার্থীতায়ও নারী শিক্ষার্থীরা যোজন-যোজন পিছিয়ে আছেন। মেয়েদের মোট পাঁচ হলে ১৩ পদের কোনো কোনোটিতে মাত্র একজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, মেয়েদের পাঁচ হলে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৫৯ জন। এত সংখ্যাক ভোটারের জন্য পাঁচ হল নিয়ে মোট ৬৫ পদের বিপরীতে মাত্র ১৮৮ জন প্রার্থী লড়াই করবেন। শতকরা হিসেবে যা আধা শতাংশেরও কম।
মেয়েদের শামসুন্নাহার হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের বহিরাঙ্গন ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাত্র একজন করে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছে। ফলে এ পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নিজ নিজ হলে নির্বাচিত হবেন তারা।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী