ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

রাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১১, ২৪ আগস্ট ২০২৫  
রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে অনিয়মের অভিযোগ এনে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড সংলগ্ন উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা।

আরো পড়ুন:

বিক্ষোভ চলাকালে তাদের ‘নকীব তুমি গদি ছাড়ো, স্বজনপ্রীতি বন্ধ করো’, ‘নকীবালয়ের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘পাকিস্তানি নিয়োগ, মানি না মানবো না’, ‘ছাত্রদলের নিপীড়ন, মানি না মানবো না’, ‘স্বজনপ্রীতি নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এ সময় বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা বলেন, আমরা খোঁজ পেয়েছি মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করা হচ্ছে। অনার্স-মাস্টার্সে প্রথম হয়েও বাদ পড়ছেন, কিন্তু যার অবস্থান সপ্তম তারা কিভাবে উত্তীর্ণ হয়? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে মনোবিজ্ঞান বিভাগের বোর্ড বাতিলের দাবি জানান তারা।

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “মনোবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে নবম স্থানে থাকা প্রার্থীদের বাছাই করা হয়েছে—যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত ও সুস্পষ্ট স্বজনপ্রীতির নজির। নকীব স্যারের এমন বৈষম্যমূলক কার্যক্রম শিক্ষাঙ্গনের জন্য লজ্জাজনক। ৫ আগস্টের পরই তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল। কিন্তু এখনো বেহায়ার মতো চেয়ারে বসে আছেন। আমরা দুর্নীতিবাজ উপাচার্যের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করছি।”

ইউট্যাব রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বাবু বলেন, “মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের একটা পায়তারা চলছে, যারা একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী। গত ১৭ বছর যারা রাজপথে ছিল এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলল, তাদের বেছে বেছে লিখিত পরীক্ষায় বাতিল করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “আমরা দেখছি, সারা বাংলাদেশে যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করে রাখছে, তাদের কর্মীদের লিখিত পরীক্ষার নাম করে একটা নীল নকশা বাস্তবায়ন করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ভেঙে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে যোগ্য ক্যানডিডেটদের বাদ দিয়ে তাদের কর্মীকে নিয়োগ দিচ্ছে।”

জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, “আমরা দেখেছি যে, লিখিত পরীক্ষার কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বাদ পড়ে যাচ্ছে। আমার বিভাগের এক শিক্ষার্থী, যে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট; আমার মতে সে যথেষ্ট যোগ্য। কিন্তু তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই আমরা লিখিত পরীক্ষা বন্ধ চাচ্ছি এবং যে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। যদি বন্ধ না করা হয়, আমরা আগামীকাল থেকে অনশন ধর্মঘট করব।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়