ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সাজিদের হত্যাকারী ও আওয়ামী দোসরদের বিচার দাবিতে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ২৭ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ১৭:০৬, ২৭ আগস্ট ২০২৫
সাজিদের হত্যাকারী ও আওয়ামী দোসরদের বিচার দাবিতে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যা ও আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শাখা ছাত্রদল। এসময় জুলাই বিরোধী ভূমিকায় থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তাদের বিচার, ফিটনেসহীন গাড়ি অপসারণসহ মহাসড়ক সংস্কারসহ নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানান তারা।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে থেকে মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।

আরো পড়ুন:

এ সময় তাদের ‘বিচার নিয়ে নয় ছয়, আর নয় আর নয়’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনিদের ফাঁসি চাই’, ‘সাজিদের রক্ত, বৃথা যাবে না’, ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘আওয়ামীলীগের ঠিকানা, এ ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এতে উপস্থিত ছিলেন ইবি শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, যুগ্ম আহ্বায়ক আনারুল ইসলাম, সদস্য রাফিজ, নুর উদ্দিন স্বাক্ষর, আহসান হাবিব, মুক্তাদির, রুকনুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, উল্লাস, রিফাত, মেহেদী হাসান, রিয়াজ প্রমুখ।

তাদের দাবি, অনতিবিলম্বে সাজিদ হত্যার বিচার করতে হবে; ফ্যাসিস্টদের দোসরদের চাকরি থেকে বহিাষ্কার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে; শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

অন্যথায় ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারী দেন তারা।

ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা -কর্মচারী সবাই নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছে। শিক্ষার্থীদের ভিতর ভয় কাজ করে, কখন কে জানি কাকে মেরে ফেলে। কুষ্টিয়ার এসপি ও ইবি থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেছি, সাজিদ হত্যার  খুনিদের দ্রুত বিচারের জন্য।  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, আপনারা দ্রুত সাজিদের খুনিদের বিচার করুন।”

তিনি বলেন, “ক্যাম্পাস যেন নিরাপদ হয়। নিরাপদ ক্যাম্পাসের জন্য পর্যাপ্ত লাইট, সিকিউরিটি গার্ড ও পুলিশের টহল নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দ্রুত শাস্তির নিশ্চিত করতে হবে। ৫ আগস্টের আগে তারা যে নির্যাতন করছে, তার জন্য আইনি প্রক্রিয়ায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”

গত ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর লাশ হল পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। ভিসেরা রিপোর্ট অনুযায়ী তাকে শ্বাসরোধে  হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ করেছে। তদন্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকা চিহ্নিত করতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ১৯ জন শিক্ষক, ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৩১ জন শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে শোকজ নোটিশ জারি করা হয়েছে।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়