ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি বহির্গমন মহড়া
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি || রাইজিংবিডি.কম
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির হেডকোয়ার্টার্স প্রাঙ্গণে এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের উদ্যোগে বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি বহির্গমন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহড়ায় ওয়ালটনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তারা বাস্তব প্রেক্ষাপটে ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবহারের অনুশীলন করেন এবং জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয়, আহতদের উদ্ধার ও নিরাপদ প্রস্থান পরিকল্পনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা অর্জন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। তিনি বলেছেন, “বর্তমান শিল্প খাতে অগ্নি নিরাপত্তা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিটি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উচিত অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসাবিষয়ক মৌলিক জ্ঞান অর্জন করা। এ ধরনের জ্ঞান ও দক্ষতা কেবল ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য নয়, বরং সমগ্র প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং সম্পদের সুরক্ষায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের শ্রম আইন ও নিরাপত্তা নির্দেশিকাগুলোতে কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ ধরনের প্রস্তুতিমূলক মহড়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। ওয়ালটন সব সময় এসব নির্দেশনাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করে আসছে। ভবিষ্যতে যেন যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়, সে লক্ষ্যেই এ ধরনের মহড়া নিয়মিত আয়োজনের মাধ্যমে আমরা সকলকে সচেতন, দক্ষ এবং প্রস্তুত রাখার চেষ্টা করছি। ওয়ালটন একটি নিরাপদ ও টেকসই কর্মপরিবেশ তৈরিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, “কর্মক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করা কোনো বিকল্প নয়, বরং এটি একটি অবিচ্ছেদ্য দায়িত্ব। পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার অংশ হিসেবে অগ্নি-সচেতনতা একটি মৌলিক এবং অপরিহার্য উপাদান, যা প্রতিটি কর্মীর জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে থাকা উচিত। বাস্তব অভিজ্ঞতা বলছে, অনেক সময় প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও শুধু প্রশিক্ষণের অভাব, অসচেতনতা এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার ঘাটতির কারণে ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রা বহু গুণ বেড়ে যায়। তাই, কেবল যন্ত্রপাতি নয়, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং মনোভাবগত প্রস্তুতি একান্ত জরুরি।”
তিনি আরো বলেন, “এ ধরনের মহড়া কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি একটি বাস্তব চর্চা, যা কর্মীদেরকে জরুরি পরিস্থিতিতে কার্যকর, আত্মবিশ্বাসী এবং সুশৃঙ্খল প্রতিক্রিয়া দিতে প্রস্তুত করে। ওয়ালটন সব সময় অগ্নিনির্বাপণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতে এ প্রচেষ্টা আরো জোরদার করা হবে।”
মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের কর্মকর্তা মো. কায়সারুল ইসলামসহ অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ধারাবাহিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়।
এ মহড়াটি কয়েকটি কার্যকরী দলে বিভক্ত হয়ে পরিচালিত হয়, যাতে জরুরি মুহূর্তে দ্রুত ও সুশৃঙ্খল প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করা যায়। পুরো কার্যক্রম পরিচালনা করেন ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মো. ইশাদুল ইসলাম।
ঢাকা/রফিক