ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের বাণিজ‌্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বেসরকারি খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ১৪ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১২:৩৮, ১৪ জানুয়ারি ২০২১
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের বাণিজ‌্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বেসরকারি খাত

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এমন কথা বলেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের মান্যবর হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দীকি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সে সময় তিনি এই কথা বলেন।

ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএস, এফসিএ, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং পাকিস্তান দূতাবাসের কমার্শিয়াল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সুলেমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সংখ্যক উদ্যোক্তা ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ ২০২১’-এর বিটুবি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উদ্যেক্তাদের বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ডিসিসিআই প্রতিবছরই এ ধরনের আয়োজন করবে।’

তিনি সার্কভুক্ত আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধিকল্পে উভয় দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারেদ আরও উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘সম্প্রতি পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রাপ্তিতে বিদ্যমান সকল বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক একটি বিষয়। এর ফলে দুদেশের উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।’

পাকিস্তান দূতাবাসের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দীকি বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈশ্বিক সূচকসমূহে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ আশাব্যাঞ্জক। ফলে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সুনাম ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পাকিস্তানও বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে অত্যন্ত আগ্রহী।’ 

তিনি উল্লেখ করেন, ‘দুদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে একটি ‘যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন’ স্থাপন করা হয়েছিল যেটির সর্বশেষ সভা ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের কার্যক্রম পুনরায় সক্রিয়ভাবে চালুকরণের প্রস্তাব করেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে দুদেশের মধ্যকার সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপন এবং করাচি ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মধ্যে সরাসরি পণ্য পরিবহন কার্যক্রম দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালুকরণের আহ্বান জানান, পাকিস্তানের হাইকমিশনার।

পাকিস্তানের ফ্যাশন শিল্প বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণে সাংষ্কৃতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করতে পারে।’

ঢাকা/হাসিবুল/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ