ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

এনআরবিসি ব্যাংকে সাধারণের আইপিও আবেদন ১১ গুণ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৮:৫৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
এনআরবিসি ব্যাংকে সাধারণের আইপিও আবেদন ১১ গুণ

এনআরবিসি ব্যাংকের আইপিও আবেদনে সাধারন বিনিয়োগকারীরা তাদের বরাদ্দের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৬ গুণ বেশি আবেদন জমা দিয়েছেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম এক্সচেঞ্জে এসব আবেদন পড়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, ডিএসই এবং সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মোট ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার লক্ষ নিয়ে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ১২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করার জন্য আইপিও আবেদন গ্রহণ করে এনআরবিসি ব্যাংক।  প্রত‌্যেক শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।  সর্বমোট ১২০ কোটি টাকা শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে ৬০ শতাংশ বা ৭২ কোটি টাকা। বাকি ৪০ শতাংশ শেয়ার পাবেন উপযুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্যাটাগরির মধ্যে বাংলাদেশি সাধারণ জনগণের জন্য বরাদ্দ ৪০ শতাংশ বা ৪৮ কোটি টাকা। এই ৪৮ কোটি টাকার শেয়ার পেতে আবেদন করেছেন ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৩০৩ জন। তাদের আবেদনের বিপরীতে জমা হয়েছে ৫২১ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা তাদের জন্য বরাদ্দের ১০ দশমিক ৮৬ গুণ বেশি। জমা পড়া আবেদনের মধ্যে শেয়ার বিতরণ করার জন্য আগামী ৩ মার্চ লটারি অনুষ্ঠিত হবে। নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার তত্বাবধানে অনলাইনে এই লটারির আয়োজন করা হবে।

এই প্রসঙ্গে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন, দীর্ঘ এক যুগ পর কোন ব্যাংক বাজারের নিবন্ধিত হচ্ছে। শেয়ারের জন্য বিপুল পরিমাণ আবেদন পড়া মানে, ব্যাংকের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিফলন। আমরা তাদের আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা করবো। নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় সার্বিক সহযোগিতার জন্য তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসই’র প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের সম্পদের মূল মালিক আমানতকারীরা। তাই জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হতে যাচ্ছি। ব্যাংকটির মূল লক্ষ্য সাধারণ মানুষদেরকে সার্বিক সেবার আওতায় আনা। এজন্য শাখা নির্ভর ব্যাংকিং ব্যবস্থার পাশাপাশি উপশাখা, বুথ এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ব্যাপকহারে প্রসার ঘটাচ্ছি। ইতোমধ্যে সারা দেশের ৫০০টিরও বেশি স্থানে সেবা দেওয়া হচ্ছে।  

উল্লেখ্য, ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলনের বিষয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বরে বিএসইসির অনুমোদন পায় এনআরবিসি ব্যাংক। চলতি মাসের শুরুতে ব্যাংক আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ইস্যু ও সংক্ষিপ্ত প্রসপেক্টাস প্রকাশের জন্য কমিশনের কাছ থেকে সম্মতিপত্র পায়। ব্যাংকটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড। ব্যাংকটির নিরীক্ষক হিসেবে রয়েছে কেএম হাসান অ্যান্ড কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস।

মেসবাহ/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ