কারখানা চালু রাখতে চান মালিকরা

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ২৮ জুন থেকে কঠোর লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করেছে সরকার।  শনিবার (২৬ জুন) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হবার কথা রয়েছে। তবে শিল্প মালিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চলু রাখতে চান। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কারখানা চালুর বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলাপ শুরু করেছে তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য সংগঠনগুলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার লকডাউনে শিল্প কারখানা খোলা রাখার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তাভাবনা করছে।

নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘শুক্রবার রাতে আমি কেবিনেট সেক্রেটারির সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি নিশ্চিত করেছেন শিল্প কারখানাগুলোকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তবে জনসাধারণের চলাচল সংকুচিত করতে বলেছেন।’

এক ভিডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘কারখানা খোলা রাখলে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কম থাকবে। কারখানা বন্ধ করে দিলে এদিক-ওদিক বা গ্রামের বাড়িতে যেতে চেষ্টা করবে। ফলে শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বেশি। অন্যদিকে, বিদেশি ক্রেতাদের সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে সমস্যা দেখা দেবে। একই সময়ে ঈদ ঘনিয়ে আসায় শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে সমস্যা তৈরি হবে।’

এর আগে, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমই এর সভাপতি ফারুক হাসান এক ভিডিও বার্তায় জানান, সরকারের ঘোষিত নিয়ম মেনেই কারখানা চালু রাখবেন তারা। শ্রমিকদের নিরাপত্তা, করোনা মোকাবিলায় কারখানার মালিকদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। এখন পর্যন্ত পোশাক খাতের খুব কম শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। 

রপ্তানিকারকরা জানান, কারখানা বন্ধ করলে পূর্বনির্ধারিত ক্রয়াদেশ বাতিলের সম্ভাবনা দেখা দেবে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত খাত আরও বেশি লোকসানের মুখে পড়েবে। এছাড়া, কারখানা বন্ধ ঘোষণা হলে শ্রমিকরা গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে সংক্রমণ আরও ব্যপকভাবে ছড়াবে।