দুর্ঘটনায় নিহত ওয়ালটনকর্মীর পরিবারের কাছে চেক হস্তান্তর
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ওয়ালটনকর্মী মুরাদ মোস্তাকিনের পরিবারের কাছে চেক হস্তান্তর করা হয়েছে
মৃত্যুজনিত পাওনা হিসেবে বগুড়ার সূত্রাপুরের ওয়ালটন প্লাজায় মাত্র ১২ দিন কাজ করা জুনিয়র অফিসার মুরাদ মোস্তাকিনের মা মরিয়ম বেগম এবং মামা মো. আলমগীর হোসেনের কাছে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত ওয়ালটন প্রধান কার্যালয়ে ওয়ালটন প্লাজার মানবসম্পদ বিভাগ কর্তৃক এই চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় ওয়ালটন প্লাজার উপদেষ্টা ইভা রিজওয়ানা বলেন, ওয়ালটন সবসময় তার কর্মীদের প্রতি সর্বোচ্চ দৃষ্টি দিয়ে থাকে। তাদের বিপদে পাশে দাঁড়ায়। মুরাদের মতো অল্প বয়সের কোনও মানুষের মৃত্যু কাম্য নয়। ওর দুর্ঘটনার পর পরই কোম্পানির তরফ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তার পরিবারের সঙ্গে সবসময় থাকবে ওয়ালটন।
ওয়ালটন প্লাজার সিইও মো. রায়হান বলেন, মুরাদ মোস্তাকিন মাত্র ১২ দিন ওয়ালটনে কাজ করেছে। এত অল্প দিনেও সে তার কাজ বুঝতে পেরেছে। কাজের প্রতি তার সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা ছিল। বেঁচে থাকলে অনেক বড় দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার মতো দক্ষতা তার মধ্যে ছিল। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
ওয়ালটন গ্রুপের হেড অব অ্যাডমিন ও রাইজিংবিডি অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রকাশক এস এম জাহিদ হোসেন বলেন, এত ছোট একটা ছেলে, মাত্র ২২ বছর বয়সে দুর্ঘটনায় মারা গেছে! অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি। মহান আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের দ্রুতই নিয়ে যান। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তার পরিবারের সবার প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল।
উল্লেখ্য, বগুড়া সূত্রাপুরের ওয়ালটন প্লাজায় কর্মরত মুরাদ মোস্তাকিন গত বছরের ১৭ মার্চ অফিসের কাজে নওগাঁ থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক জানান, দুর্ঘটনার সময়ই তিনি মারা যান।
মুরাদ মোস্তাকিনের অকাল মৃত্যুতে ওয়ালটন পরিবার তাদের শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে। মোস্তাকিনের মা এবং মামার হাতে ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়ার ফান্ডের তরফ থেকে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটন প্লাজার সিএফও মো. ফাহিম মাহবুব, সিআইও মফিজুর রহমান, হেড অব অডিট ইয়াসিন আলী, হেড অব এইচআর মো. ফয়সাল ওয়াহিদ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মো. মাহমুদুল ইসলাম, ট্রাস্টি বোর্ডের সেক্রেটারি মিনহাজ উদ্দিন।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন প্লাজার এইচ আরবিপিগণ, অর্গানাইজেশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং এক্সিট ম্যানেজমেন্ট, ওয়েলফেয়ার অফিসার প্রমুখ।
মেয়া/এনএইচ
আরো পড়ুন