আমদানি সহজ করতে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নীতিমালা জারি
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
বিদ্যমান সব নির্দেশনা একত্র করে আমদানি বাণিজ্য সম্পর্কিত বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আমদানি-সংক্রান্ত নীতিমালা আরও সহজ ও পরিষ্কার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এই পরিপত্র জারি করা হয়। এটি আজ থেকে কার্যকর হয়েছে এবং এক বছর কার্যকর থাকবে।
পরিপত্রে বলা হয়, আমদানি সংক্রান্ত বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে স্বচ্ছতা, গতি ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে, অনলাইন রিপোর্টিং, যাচাইকরণ ও ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পণ্যের মূল্য, মান ও উৎস যাচাই করা যাবে।
পরিপত্রে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট), রেমিট্যান্স, ক্রয়চুক্তির আওতায় আমদানি, সরবরাহকারী ও ক্রেতার ঋণ, সফটওয়্যারের ই-ডেলিভারি, বৈদেশিক মুদ্রায় অভ্যন্তরীণ এলসি, ইপিজেড, অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক এবং স্বর্ণ, রৌপ্য ও গয়নার আমদানিসহ বিভিন্ন বিষয়ের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন ইমপোর্ট মনিটরিং সিস্টেম (ওআইএমএস) সব অনুমোদিত আমদানি লেনদেন রিপোর্ট করতে হবে। এ ছাড়া ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার বেশি মূল্যের আমদানির ক্ষেত্রে এলসি খোলার আগে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে রিপোর্ট দিতে হবে।
আরও বলা হয়েছে, সোনা, রূপা ও মুদ্রা আমদানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি লাগবে। তবে ভ্রমণকারীরা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে সোনা ও রূপা আনতে পারবেন (ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী)। বৈদেশিক মুদ্রা নোট ও কয়েন ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত ঘোষণা ছাড়াই আনা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত মাসে রপ্তানি খাতে একই ধরনের মাস্টার সার্কুলার জারি করেছিল। এবার আমদানি খাতে এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, এতে আমদানিকারক ও ব্যাংক উভয়ের জন্য নীতিমালা বোঝা সহজ হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে দেশের নীতিমালার সামঞ্জস্যও বাড়বে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ভবিষ্যতে বৈদেশিক ঋণ, প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ, বিদেশে বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব ইত্যাদি ক্ষেত্রেও এ ধরনের মাস্টার সার্কুলার জারি হলে বৈদেশিক লেনদেন আরও স্বচ্ছ ও সহজ হবে।
ঢাকা/নাজমুল//