ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

অনলাইনে ইবি গ্রন্থাগারের বইয়ের তথ্য

বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৯, ২৬ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অনলাইনে ইবি গ্রন্থাগারের বইয়ের তথ্য

লাইব্রেরিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সেলফে বই খুঁজতে থাকা একটি পরিচিত দৃশ্য। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খাদেমুল হারামাইন বাদশাহ ফাহাদ বিন আব্দুল আজিজ কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারেও এমন দৃশ্য দেখা যায়।  প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা এই সেলফ ওই সেলফে নির্দিষ্ট বিষয়ের নির্দিষ্ট বই খুঁজে বেড়ান। কোনো একটি বই গ্রন্থাগারে আছে কিনা জানা থাকে না সে তথ্যও। তাই অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত বইটি না পেয়ে নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়।

শিক্ষার্থীদের এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদেরকে আর সেলফ ঘেটে বই খুঁজতে হবে না। গ্রন্থাগারের সকল বইয়ের তথ্য পাওয়া যাবে অনলাইনে। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে জানা যাবে গ্রন্থাগারে কোন বইটি সংরক্ষিত আছে। শুধু তাই নয়, জানা যাবে বইটি গ্রন্থাগারের কত তলায়, কোন সেলফে পাওয়া যাবে। সেই সাথে বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

গ্রন্থাগারিক ও এই কার্যক্রমের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল আজিজ জানান, কোনো একটি বইয়ের নাম, লেখক, প্রকাশনী, যে বিষয় সম্পর্কিত বই সে বিষয় এবং প্রতিটি বইয়ের জন্য থাকা নির্দিষ্ট বার কোড দিয়ে সার্চ করলে বইটি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। নির্দিষ্ট বিভাগ বা শিরোনামের বইয়ের ক্ষেত্রে সে বিভাগ বা শিরোনাম লিখে অনুসন্ধান করলে, সে বিষয়ে থাকা সব বইয়ের তালিকা ও তথ্য পাওয়া পাওয়া যাবে। একইভাবে কোনো লেখক বা প্রকাশনীর নাম লিখে সার্চ করলে গ্রন্থাগারে থাকা সেই লেখক বা প্রকাশনীর সকল বইয়ের তথ্য জানা যাবে।

তিনি আরো জানান, বইয়ের যেকোনো একটি তথ্য দিয়ে অনুসন্ধান করলে বইটির নাম, লেখক, প্রকাশনী, পৃষ্ঠা সংখ্যা, ভলিউম সাইজ, বার কোড ও আইএসবিএন অনুযায়ী বইটির মান জানা যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও গ্রন্থাগারের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে এসব তথ্য জানা যাবে। গ্রন্থাগারের বিভিন্ন তলায় মোট ২৭টি কম্পিউটার রয়েছে, যেগুলোতে শিক্ষার্থীরা অনুসন্ধান করতে পারবেন। বিশ্বদ্যিালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে থাকা মোট ১ লক্ষ ৮ হাজার বইয়ের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার বইয়ের তথ্য অনলাইনের আওতায় আনার কাজ চলছে। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাকি বই ও বিভিন্ন বিভাগের সেমিনার গ্রন্থাগারে থাকা বইয়ের তথ্য যুক্ত করা হবে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দিকনির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের কারিগরি সহযোগিতায় প্রক্রিয়াটিতে প্রায় ৭ মাস ধরে এ কার্যক্রম চলে। আগামী ৮ ফ্রেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল লাইব্রেরি একসেস সেন্টারের উদ্বোধন করা হবে।

এ বিষয়ে গ্রন্থাগারিক আতাউর রহমান বলেন, ‘গ্রন্থাগার সেবার মান উন্নয়নের জন্য কর্তৃপক্ষ নিয়মিতই নতুন নতুন বিষয় সংযোজন করছে। এরই অংশ হিসেবে ডিজিটাল লাইব্রেরি একসেস সেন্টার প্রতিষ্ঠা।’


ইবি/নাহিদ/মাহি

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়