শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান কার্যক্রম স্থগিত
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ১ জুলাই থেকে ৭ দিনের লকডাউনের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুন) সন্ধ্যায় মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক আদেশে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
আদেশে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ রোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিধিনিষেধ সংক্রান্ত পরিপত্রের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি ও ২০২২ সনের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহ ভিত্তিক চলমান অ্যাসাইনমেন্ট বিতরণ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে শ্রেণিকক্ষে সরাসরি ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না। এর বিকল্প হিসেবে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট (হোমওয়ার্ক) দেওয়া হচ্ছে। এই অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে, এমনটিই বলছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ২৩ জুন দেশের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সব আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে জানানো হয়, করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে না পারায় মন্ত্রণালয় বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চলমান রেখেছে।
করোনার কারণে যেসব এলাকায় লকডাউন চলছে ওসব এলাকার আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার স্থানীয় প্রশাসন এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিতরণ করা অ্যাসাইনমেন্ট জমার তারিখ পুনঃনির্ধারণ কয়া যাবে।
যেসব শিক্ষার্থী লকডাউনের কারণে সময়মতো অ্যাসাইনমেন্ট শুরু করতে পারবে না, তাদের পরে সুবিধাজনক সময়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে অ্যাসাইনমেন্ট জমার সুযোগ দেওয়া হবে। কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে স্বাস্থ্যবিধিকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না।
কিন্তু করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি চিন্তা করে সরকার কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে এতে অনলাইনেও এসাইনমেন্ট কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছে মাউশির কর্মকর্তা তাই কার্যক্রমটি আপাতত স্থগিত করা হলো।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদেরও অ্যাসাইনমেন্ট (হোমওয়ার্ক) দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে তা ‘বাসার কাজ’ হিসেবে গণ্য হবে। প্রতি সপ্তাহে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে ওয়ার্কশিট পৌঁছে দেবেন। সপ্তাহ শেষে তা মূল্যায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।
/ইয়ামিন/এসবি/