ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘গাছ হত্যার বিচার চাই’

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ২৩:৪৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
‘গাছ হত্যার বিচার চাই’

জায়গাটা একই, পার্থক্য শুধু সময়ের || ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনের একটি গাছ কাটা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। কিছু দিন আগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালসহ বিভিন্ন জায়গায় গাছ কাটার উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এসব গাছ কেটে ফেলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। প্রতিবাদও হয়েছে নানা মাধ্যমে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭০ বছর বয়সী কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটা নিয়ে এ সংক্রান্ত আলোচনা ফের সামনে আসে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহানারা খালিদ বলেন, ‘এটি হত্যাকাণ্ড। আমি গাছ হত্যার বিচার চাই। আমাদের প্রশাসন এত এত কাজ রেখে শুধু কি গাছ কাটতে পারেন? কয়কদিন আগে দেখলাম, সোহরাওয়ার্দীতে এ ঘটনা। দেখলাম রাজশাহীতে, এখন ঢাবিতে। সরকারের উচিত এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া এবং সেটি যেন সবাই মানে, সে ব্যবস্থা করা।’

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আসলে পরিকল্পনার অভাবে এ জাতীয় ঘটনা বারবার ঘটছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সত্যি বলতে এটার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। গাছ কাটার বিষয়ে অবশ্যই সংশ্লিষ্টদের আরও সচেতন হওয়া জরুরি।’

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঐতিহ্য ও পরিবেশগত কারণে গাছ সংরক্ষণ করা জরুরি। কোনোটা ঝুঁকিপূর্ণ হলে বা অতীব প্রয়োজন থাকলে সুনির্দিষ্ট কারণ সাপেক্ষে কাটা যেতে পারে। তবে, অবশ্যই অধিকাংশের মত থাকতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষক বলেন, ‘যেখানে অধিকাংশ মানুষ একটা বিষয়ের বিপক্ষে থাকে, সেখানে অবশ্যই বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। নিজেদের খেয়াল খুশিমতো একটা গাছ কেটে ফেলাও জবরদস্তিমূলক আচরণ।’

প্রশাসন কী বলে:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেছেন, ‘গাছটির শিকড় নরম হয়ে গেছে। এর আগে শিকড় নরম হওয়ার পরেও না কাটার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু গাছ ঝড়ে উপড়ে পড়েছিল। গাছটি জীবনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থেই গাছটি কাটা হয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গাছ কাটা ও নিলাম কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মিহির লাল সাহা বলেন, ‘কৃষ্ণচূড়া গাছটা সোজা থাকার কথা। কিন্তু গাছটি হেলে পড়েছে। গোড়াটাও নষ্ট হয়েছিল। যেকোনো সময় এটি উপড়ে পড়ত। পরে যখন একটা দুর্ঘটনা ঘটবে, তখন বড় ক্ষতি হবে। তাই, গাছটি কাটতে হয়েছে।’

ইয়ামিন/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়