ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে আকর্ষণীয় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক: শিক্ষা উপদেষ্টা

জ্যেষ্ঠ প্রতি‌বেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৬, ২৯ জুলাই ২০২৫   আপডেট: ১৯:২১, ২৯ জুলাই ২০২৫
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে আকর্ষণীয় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেখানে আকর্ষণীয় পরিবেশের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মেধা বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ ও সুযোগ পায়।   

তিনি বলেন, ‘‘আমরা এমন এক পরিবেশ চাই, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাব ও বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা ও আগ্রহের জায়গাগুলো অন্বেষণ করতে পারবে। সেইসঙ্গে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, উপজাতি, চরাঞ্চল ও বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসকারী উর্দুভাষীদের জন্যও শিক্ষা গ্রহণের পূর্ণ সুযোগ নিশ্চিত করা হবে।’’

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে ২০২২ ও ২০২৩ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস (PBGSI) স্কিমের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ড. আবরার বলেন, ‘‘এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষক, বাবা ও মা অনেক পরিশ্রম করেন।  তাই ছাত্রছাত্রীদের উচিত তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো। আমি আহ্বান জানাবো শিক্ষার্থীরা যেন অন্তত ফুল কিনে দিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানায়।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক আমাদের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার। শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়া থাকতে পারে, তবে সেটি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে যুক্তিযুক্ত ও ন্যায়সঙ্গত উপায়ে রাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরা উচিত। আমাদের মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রের সম্পদ সীমিত। তাই পরিকল্পিতভাবে এই সম্পদের ব্যবহার করেই আমাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। আর এ জন্য নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’’

সামাজিক বৈষম্য ও প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমাদের অভিভাবকরা দেশের কয়েকটি নামকরা স্কুলে সন্তানদের ভর্তির জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। আমরা যদি দেশের সব স্কুলকে মানসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে এই অযথা প্রতিযোগিতা দূর হবে।’’

তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী শিক্ষা-পরিবেশ তৈরি করার কথাও বলেন, যাতে অভিভাবকেরা নিশ্চিন্তে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারেন।

কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে ড. আবরার বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের অনেক অভিভাবক এখনো কারিগরি শিক্ষাকে অবহেলার চোখে দেখেন। অথচ বাস্তবতা হলো, কর্মসংস্থান তৈরির অন্যতম মাধ্যম এই কারিগরি শিক্ষা। আমাদের এখনই এ বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে।’’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. খ ম খবিরুল ইসলাম, সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, মো. মজিবর রহমান, সচিব (রুটিন দায়িত্ব), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, সৈয়দ মামুনুল আলম, অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং নুজহাত ইয়াসমিন, অতিরিক্ত সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

অনুষ্ঠানে দুই বছরের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। 

ঢাকা/এএএম//

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়