এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ও ভাতা শতাংশ ভিত্তিতে বাড়ানোর প্রস্তাব
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন। এর প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের বাড়ি ভাড়া ভাতা প্রতি মাসে এক হাজার টাকা বাড়িয়ে দুই হাজার টাকার প্রস্তাব দিয়েছিল।কিন্তু শিক্ষকরা এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে মূল বেতনের ওপর শতাংশভিত্তিক বাড়ি ভাড়ার দাবিতে জোর দেন।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে শিক্ষক-কর্মচারীরা আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত দাবি পূরণের জন্য সরকারকে সময় দিয়েছেন।ওই সময়ের মধ্যে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে তারা ১২ অক্টোবর থেকে অবিরাম আন্দোলনে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এ অবস্থায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ভাতা শতাংশভিত্তিক বাড়ানোর প্রস্তাব তৈরির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রস্তাবটি আগামী রবিবার (৫ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ পৃথকভাবে এ প্রস্তাব দেবে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি. আর. আবরার ৩০ সেপ্টেম্বর এ প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন। দুর্গাপূজার ছুটির পর প্রথম কর্মদিবস রবিবার প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে পাঠানো হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বাড়ি ভাড়া ভাতার হার মূল বেতনের ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত চারটি স্তরে প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় যা অনুমোদন করবে, সেটিই কার্যকর হবে।”
এদিকে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা দাবি করে আসছেন। গত ১৩ আগস্ট জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের মহাসমাবেশে এ দাবির প্রস্তাব শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছিল। জোটটি বলছে, এরচেয়ে কম হারে বাড়ি ভাড়া ভাতা দিলে তারা সেটা মেনে নেবেন না।
ঢাকা/এএএম/এসবি