ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হঠাৎ এটিএম শামসুজ্জামানের বাসায় জায়েদ খান

প্রকাশিত: ১৭:৪৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৮:০৬, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
হঠাৎ এটিএম শামসুজ্জামানের বাসায় জায়েদ খান

বাংলা চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে ‘জীবন্ত কিংবদন্তি’ এটিএম শামসুজ্জামান। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসীত হয়েছেন। পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর ছিল একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতার জন্মদিন। এর পরের দিন গতকাল রাতে তার বাসায় হাজির হন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানসহ শিল্পী সমিতির অন্যান্য সদস্যরা।

শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পর কেক কেটে জন্মদিন পালন করে শিল্পী সমিতি। এসময় জায়েদ খান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ফরহাদ, নৃত্য পরিচালক জাকির, চিত্রনায়ক মারুফ আকিব, জয় চৌধুরী।

এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এটিএম ভাই আমাদের সবার প্রিয়। তিনি অসুস্থতার কারণে এখন বাসায় অবস্থান করছেন। তাই তাকে বাসায় গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি এবং তার শরীর কেমন তার খোঁজখবর নিয়েছি। দীর্ঘক্ষণ তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন।’

বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমি জন্মদিন পালনে বিশ্বাসী নই। তারপরও জায়েদ ও শিল্পী সমিতি আমাকে শুভেচ্ছা জানাতে বাসায় এসেছে। এতে আমি অনেক খুশি হয়েছি। আমি আগে থেকে জানতাম না। হঠাৎ করেই রাতে বাসায় হাজির হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আসলে আমরা যারা বাসায় বসে থাকি, কাজকর্ম করি না তাদের অনেকেই খোঁজ নেন না। শিল্পী সমিতি আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ও খোঁজ নিচ্ছে। আমি মনে করি এর আগেও অনেকে সমিতির দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু জায়েদ খানের মতো এতটা ভালো কেউ করেনি। বর্তমান কমিটি ভালো কাজ করছে। নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর রাখছে।’

এটিএম শামসুজ্জামান ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। অভিনয় দিয়ে বাংলা সিনেমা ও নাটকে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন তিনি। এটিএম শামসুজ্জামান একাধারে কাহিনিকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক এবং অভিনেতা। ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেন ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের জন্য। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় তার আগমন ১৯৬৫ সালে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক।

ঢাকা/রাহাত সাইফুল/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়