ঢাকা     বুধবার   ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শীতে চুলের কোমলতা হারিয়ে যাচ্ছে? একটি কাজ করুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ০৯:১৫, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শীতে চুলের কোমলতা হারিয়ে যাচ্ছে? একটি কাজ করুন

ছবি: প্রতীকী

শীতে চুলের কোমলতা হারাতে শুরু করে। আরর শ্যাম্পু করলে তো কথাই নেই। আরও কঠিন অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে বাজারচলতি কন্ডিশনার, সিরাম চুলকে আরও বেশি রুক্ষ করে তুলতে পারে। ঘরোয়া উপাদান দিয়ে নিয়ম করে চুলের যত্ন নিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শুষ্ক চুলকে নরম করার জন্য দরকার কিছু বাড়তি যত্ন, যা চুলের হারিয়ে যাওয়া নরম ভাব এবং আর্দ্রতাকে ফিরিয়ে আনতে পারে। ঘরোয়া কয়েকটি উপাদান দিয়ে চুলের যত্ন নিলে তা ওই আর্দ্র ভাব ফেরাতে সাহায্য করবে। আর তার জন্য খুব বেশি পরিশ্রমেরও দরকার পড়বে না। 

তিসির বীজ ভেজানো পানি

আরো পড়ুন:

তিসির বীজ ভেজানো পানিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চুলের চারপাশে ময়েশ্চারাইজার পরত তৈরি করে দেয়। চুলকে ভঙ্গুর হতে দেয় না। সপ্তাহে দুই তিন বার এই তিসি ভেজানো পানি চুলে লাগিয়ে রাখলে চুল অত্যন্ত নরম এবং উজ্জ্বল দেখাবে।  ভেতর থেকে পুষ্টিও জোগাবে চুলকে।

কলা দিয়ে তৈরি মাস্ক

কলার মাস্ক চুলের কোমলতা ধরে রাখতে পারে। পাকা কলা চটকে বা ব্লেন্ডারে বেটে নিয়ে তা চুলে মাস্কের মতো করে ব্যবহার করতে পারেন। পটাশিয়াম এবং নানা ধরনের ভিটামিনে ভরপুর কলায় আর্দ্রতা বজায় রাখার ক্ষমতাও রয়েছে। খরখরে রুক্ষ হয়ে যাওয়া চুলে এক বারের ব্যবহারেই রুক্ষতা দূর হবে। এটিও সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।


দইয়ের মাস্ক

দইয়ে  থাকা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার চুলের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা বি ভিটামিন চুলের জন্যও অতি জরুরি একটি পুষ্টিগুণ। চুলে সপ্তাহে ২-৩ বার দইয়ের মাস্ক লাগিয়ে ঘণ্টা খানেক রেখে দিয়ে তার পরে চুল পরিষ্কার করলে চুল হবে রেশমের মতো নরম এবং উজ্জ্বল।


মধু এবং অলিভ অয়েল

চুলে মধু এবং অলিভ অয়েল এক সঙ্গে মিশিয়ে গোসলের ঘ্ণ্টা খানেক আগে লাগিয়ে রাখতে পারেন। মধু আর্দ্রতা জোগাতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল চুলে পুষ্টি জোগান দেয়।


কুসুম গরম নারকেল তেল

পুরনো টোটকা তবে কাজের। নারকেল তেল খুব হালকা গরম করে নিন। মনে রাখবেন খুব বেশি গরম তেল চুলের গোড়ায় লাগালে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। তাই খুবই অল্প গরম করতে হবে, যাতে তেলের পুষ্টিগুণ সক্রিয় হয়। এর পরে ওই তেল ভাল ভাবে চুলে এবং চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে। চুলের প্রোটিনের ঘাটতিও খানিকটা মিটবে। চাইলে হালকা গরম পানিতে একটি তোয়ালে ভিজিয়ে সেটিকে ভাল করে নিকড়ে নিয়ে চুল মুড়ে রাখতে পারেন। এতেও চুল নরম হবে। 

উল্লেখ্য,  শীতে ঠান্ডা লাগার সমস্যা থাকলে খুব বেশি ক্ষণ ভিজে তোয়ালে মাথায় রাখবেন না। ঠান্ডা হয়ে গেলে খুলে ফেলুন। চুলের কোমলতা ধরে রাখতে যেকেনো একটি উপায় মেনে চললেই ভালো ফলাফল পেতে পারেন। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়