ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আলোর মুখ দেখবে কি ‘অবাস্তব ভালোবাসা’?

প্রকাশিত: ০৮:১৭, ১৯ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৪:৫০, ১৯ নভেম্বর ২০২০
আলোর মুখ দেখবে কি ‘অবাস্তব ভালোবাসা’?

চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য প্রযোজক অর্থ লগ্নি করে থাকেন। আর পরিচালকের নির্দেশনায় অভিনয় করেন শিল্পীরা। স্বাভাবিক কারণে প্রযোজকের সঙ্গে পরিচালক ও শিল্পীদের সম্পর্ক মধুর হয়। আবার তাদের সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হলে সিনেমা মুক্তি নিয়ে দেখা দেয় সংশয়। কিন্তু এমন ঘটনাই ঘটেছে ‘অবাস্তব ভালোবাসা’ সিনেমার ক্ষেত্রে। সিনেমাটির প্রযোজক ও নায়িকার মধ্যে শুরুতে বন্ধুত্ব থাকলেও তা এখন দ্বন্দ্বে রূপ নিয়েছে। ফলে আটকে আছে এ সিনেমার মুক্তি।

২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর, মহরতের মাধ্যমে ‘অবাস্তব ভালোবাসা’ সিনেমার শুটিং শুরু করেন পরিচালক। এরপর ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর, সিনেমাটির শুটিং শেষে সেন্সর বোর্ডে জমা দেন। একই বছরের ২৪ নভেম্বর, প্রবাসী প্রযোজক হাবিবুল আহসানের নামে সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়। পরের বছরের ১৭ এপ্রিল, সিনেমাটি মুক্তির দিন ধার্য করা হয়।

সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পর প্রযোজক হিসেবে দাবি করেন নায়িকা মাহিয়ান চৌধুরী। যার জন্য মুক্তির তারিখ ঠিক করার পরও এটি মুক্তি পায়নি। এমনকি এখনো আলোর মুখ দেখেনি সিনেমাটি। তবে কবে নাগাদ সিনেমাটি মুক্তি পাবে তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। কাজল কুমার পরিচালিত এ সিনেমায় নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগত চিত্রনায়িকা মাহিয়ান চৌধুরী। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী।

হাবিবুল আহসান ও মাহিয়ান চৌধুরী দুজনেই সিনেমার প্রযোজক দাবি করছেন। এ নিয়ে প্রযোজক হাবিবুল আহসানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন নায়িকা। এ দ্বন্দ্বের কারণেই সিনেমাটি এতদিনেও আলোর মুখ দেখেনি বলে রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন এই সিনেমার টিমের এক সদস্য। অন্যদিকে এই সিনেমার বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে কিছুই জানেন না বলে রাইজিংবিডির কাছে দাবি করেন  সিনেমাটির পরিচালক।

এ বিষয়ে কথা বলতে নায়িকা মাহিয়ান চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও সাড়া দেননি তিনি। সিনেমার মালিকানার বিষয়ে জানতে সেন্সর বোর্ডে যোগাযোগ করেন এই প্রতিবেদক। সেন্সর বোর্ড সূত্র জানা যায়, প্রযোজক হাবিবুল আহসানের নামে সিনেমাটির সেন্সর হয়েছে। পরবর্তীতে নায়িকার নামে সেন্সর করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেন্সর বোর্ড নতুন করে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র দেয়নি, বরং পূর্বের ছাড়পত্রই বহাল রয়েছে।

প্রযোজকের নাম নিয়ে কাড়াকাড়ির দ্রুত অবসান ঘটিয়ে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হোক— এমনটাই দাবি করছেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়