ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নোবেলের ‘ক্ষমা চাওয়ার নাটক’

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ১৯ মে ২০২১   আপডেট: ১৪:০৪, ১৯ মে ২০২১
নোবেলের ‘ক্ষমা চাওয়ার নাটক’

সংগীতাঙ্গনের বহুল চর্চিত নাম মাইনুল আহসান নোবেল। ভারতের জি-বাংলার রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা ২০১৯’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংগীত ভুবনে পা রাখেন। এই শোয়ে অন্যের গাওয়া গান কাভার করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে শ্রোতাপ্রিয়তা লাভ করেন। কিন্তু সংগীত ক্যারিয়ারের শুরুতেই বিতর্কে জড়ান নোবেল। শুরুতে তার ভক্তরা নোবেলের পক্ষে দাঁড়ালেও সময়ের সঙ্গে তারাও সরে যান।

বিতর্কে জড়ানোর ঘটনা নোবেলের নতুন নয়। আবার কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চাইতেও ভুল করেন না ২৪ বছর বয়েসী এই কণ্ঠশিল্পী। তার বিতর্ক ও ক্ষমা চাওয়ার তালিকা সময়ের সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে। এ নিয়ে দারুণ বিরক্ত নেটিজেনরা। তাদের ভাষায়—‘ক্ষমা চাওয়ার নাটক দেখতে দেখতে বিরক্ত।’ চলুন জেনে নিই, নোবেলের বিতর্ক ও ক্ষমা চাওয়ার তালিকা।

গত ১৪ মে রাতে নগরবাউল জেমসকে নিয়ে ফেসবুকে অবমাননাকর স্ট্যাটাস দেন নোবেল। এতে নোবেলের উপর ক্ষিপ্ত হন সংগীতপ্রেমীরা। যদিও নোবেল দাবি করেন, তার ফেসবুক পেজটি হ্যাক হয়েছে। নোবেলের এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জের ধরে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দেশের অডিও প্রযোজনা সংস্থা সাউন্ডটেক।

পরে মঙ্গলবার (১৮ মে) রাতে ক্ষমা চেয়ে স্ট‌্যাটাস দেন। তাতে তিনি লিখেন, ‘জেমস ভাই, আমার তো মায়ের পেটের বড় ভাই নাই। যদি থাকত, আমি তাকে আপনার মতো করেই ভালোবাসতাম, শ্রদ্ধা করতাম। জেনে না জেনে, বুঝে না বুঝে, রাগ অভিমানে, অনেক অন্যায় করে ফেলেছি গুরু! যে ভুল করেছি, সে ভুলের ক্ষমা চাওয়ার যোগ্য আমি নই। তবু যদি নিজের ছোট ভাই এবং আপনার সবচেয়ে বড় ভক্ত মনে করে আমাকে একটু ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখতেন, আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকতাম।’

কয়েকদিন আগে এক বিনোদন সাংবাদিককে অপহরণের হুমকি দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন নোবেল। এ নিয়েও সোশ‌্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। সর্বশেষ এদিন রাতে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান নোবেল। তাতে তিনি লিখেন, ‘রোড অ‌্যাক্সিডেন্টের পর আমাকে কেউ একবার কল করে খবর নিল না। নিজের আবেগ আসলে ধরে রাখতে পারি নাই। আমি মাত্র ২৪ বছর বয়সী একজন তরুণ শিল্পী। আমিও তো দেশের জন্য সুনাম কুড়িছে এনেছি। আমি না হয় ভুল করব। সেসব ভুল ধরে দেওয়ার দায়িত্ব তো আপনাদের। সেখানে অনেকেই আমাকে প্রতিনিয়ত হেয় করছেন। তাই আসলে রাগ সামলাতে পারিনি। আমি সকল সাংবাদিক ভাইদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কথা দিচ্ছি, পরবর্তীতে এরকম ভুল আর হবে না।’

২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর নোবেল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে ‘দেশ’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশ করেন। গানটির কথা ও সুর নিজের বলে দাবি করেন। এরপর নোবেলের বিরুদ্ধে এই গান চুরির অভিযোগ তুলেন ব্যান্ডদল ‘অ্যাবাউট ডার্ক’। ২০১৮ সালেও নোবেল এই গানটি নিজের দাবি করে প্রকাশ করেছিল। তখন সমালোচনার মুখে পড়ে গানটি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে নোবেল ক্ষমা চেয়েছিল বলেও জানান ‘অ্যাবাউট ডার্ক’ ব্যান্ডের সদস্য পূর্ণ।

গত বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে কটাক্ষ করে স্ট্যাটাস দেন নোবেল। এতে তিনি লিখেছিলেন—‘স্ক্যান্ডাল আমার হবে না তো হবে কার? চায়ের দোকানদার নরেন্দ্র মোদির? কে দেখবে চা-ওয়ালার স্ক্যান্ডাল? অন্যদিকে আমাকে নগ্ন দেখার মধ্যে তো বিরাট তৃপ্তি তাই না? নাহলে কি স্ক্যান্ডাল এত ভাইরাল হয়?’ এমন পোস্টের পর নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে পড়েন নোবেল। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম খবরও প্রকাশ করে।

বিতর্কের মুখে পড়ে গত ২৪ মে এ শিল্পী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে ভুল স্বীকার করে লিখেন—‘মোদিজির প্রেমে এখন ইন্ডিয়া মাতাল। মোদিজি জানতে পারলে আমাকে নোবেল পুরস্কার দিতেন। যে মোদিজিকে ক’দিন আগে সবাই গণহারে গালি দিত, সেই মোদিজির আজ কত শুভাকাঙ্ক্ষী। এসব কার অবদান, তোমরা বলো? বাই দা রাস্তা, সরি মেরে ইন্ডিয়ান ভাই ও বেহেনরা। আমার স্ট্যাটাসটা দেওয়া উচিত হয়নি। মাঝে মধ্যে ভুলে যাই আমি তো ইন্ডিয়ান নই। ক্ষমা করে দিও।’

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়