ঢাকা     রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

‘গালি তো দিলেনই, নোংরা কথায় খোঁটাও দিলেন’

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৭, ১৬ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ১৭:০৫, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
‘গালি তো দিলেনই, নোংরা কথায় খোঁটাও দিলেন’

বাংলাদেশের গুণী অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘খুফিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছে তার। বিশাল ভরদ্বাজ নির্মিত এ সিনেমা গত ৫ অক্টোবর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে।

গুপ্তচরবৃত্তির এই সিনেমায় হিনা রহমান বা অক্টোপাস চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁধন। এ সিনেমায় তার সহশিল্পী টাবু অভিনয় করেছেন কৃষ্ণা মেহরা চরিত্রে। দুজনের অভিনয় প্রশংসা কুড়াচ্ছে। টাবুর সঙ্গে সমকামী ভূমিকায় দেখা গেছে বাঁধনকে। তাদের মধ্যকার তথ্য আদান-প্রদানের সম্পর্ক বিছানা পর্যন্ত গড়ায়। সিনেমাটিতে তাদের এই ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে জোর চর্চা চলছে।

সমকামী চরিত্রে অভিনয় করার কারণে বাঁধনকে নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন, তাদের নিয়ে এবার কড়া সমালোচনা করলেন দেশের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী বন্যা মির্জা। নিজের ফেসবুকে পোস্ট করা এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

বন্যা মির্জা বলেন, ‘ভাই রে, প্রেম কেবল নারীর সঙ্গে পুরুষের হবে এটা হলো পুরুষের ভাবনা। সব কিছুই পুরুষদের পেতে হবে! আর সমকামিতাও একটা কোনো বিশেষ বিষয় না। তারও হাজার রকম আছে। শিখছেন একটা শব্দ, ওটা নিয়েই বসে আছেন! জগতে কতরকম জেন্ডার আছে। তাহলে সকলের আলাদা ভাবনাও আছে। এটাই তো স্বাভাবিক বিষয়।’

বেশ আগে পতিতা চরিত্রে অভিনয়ের ঘটনা বর্ণনা করে বন্যা মির্জা বলেন, ‘একটা গল্প বলি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে। আমি যখন একজন ‘পতিতা’ চরিত্র করি, তখন ‘পতিতা’ চরিত্র কেউ করতে চাইতেন না। আমার কাছে আসতো সেই চরিত্র করার জন্য, আর আমি করতাম। এইডস রোগের নামও তখন নতুন শুনছি আমরা। তো গল্পের সেই পতিতার আবার এইডস হলো। বিষয়বস্তু মোটামুটি এরকম।’  

পতিতা চরিত্রে অভিনয় করার কারণে তার সহকর্মীরাও তাকে নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। তা উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার কলিগরা তো বললেনই এ রকম চরিত্র করা আমার ঠিক হয়নি। এমনকী আমার তৎকালীন বয়ফ্রেন্ডও মোটামুটি ধরেই নিলেন যে, আমারই এইডস হয়েছে! গালি তো দিলেনই, নোংরা কথায় নানান রকম খোঁটা দিতে থাকলেন। আমি নাকি বেশি স্মার্ট হয়ে গেছি। নাটকের নাম ‘খণ্ড-ৎ’। নজরুল কোরেশীর পরিচালনা।’

মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত একটি নাটকে পতিতা চরিত্র রূপায়ন করেছিলেন বন্যা মির্জা। সেই ঘটনা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘তারপর ‘রোদ মেখো সূর্যমূখী’, মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত। এখানে আবার পতিতাকে দেখানো হয় প্রেগনেন্ট অবস্থা থেকে। সেই ‘পতিতা’ নিজেই নিজের বাচ্চা প্রসব করায়, নিজের নাড়ি কাটে, বাচ্চা বের করে। পুরো দৃশ্যটাই নাটকে দেখানো হয়। তারপর তো আরো অনেক নাটক করেছি। পরে দেখলাম আর যাই হোক পতিতা চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা হতে কত জরুরি এবং অনেকেই করলেন। গোলাপী ফিতা আর গোলাপী লিপস্টিক দেওয়া অভিনয় দেখলাম!’

সমালোচকদের উদ্দেশ্যে বন্যা মির্জা বলেন, ‘ভাই রে, পতিতাও একরকমের জীবন বা পেশা না যে গোলাপী ফিতা দিয়েই সারবেন। তো, আমার মনে হচ্ছে, কদিন পর আপনারাই ঝাঁপিয়ে পড়বেন সমকামী চরিত্র করার জন্য, যাতে আপনাদের সু-অভিনেতা বলা হয়। তখন বাঁধনকে কিছু একটা ক্রেডিট দিয়েন। এখন বরং চুপ থাকেন!’

গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে অমর ভূষণের বিখ্যাত উপন্যাস ‘এস্কেপ টু নো হোয়্যার’। এই উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। তা ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— আশিষ বিদ্যার্থী, আলি ফজল, ওয়ামিকা গাব্বি প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়