ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

এখন গরুর হাটে গেলে আমাদেরই ‘গরু’ বানায়া ফেলে: ডিপজল

জ্যেষ্ঠ বিনোদন প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৬, ১৯ জুন ২০২৪   আপডেট: ১৪:৪১, ১৯ জুন ২০২৪
এখন গরুর হাটে গেলে আমাদেরই ‘গরু’ বানায়া ফেলে: ডিপজল

ঈদুল আজহায় সাধারণ মানুষের মতো তারকারাও কোরবানি দেয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। চলচ্চিত্র শিল্পীদের মধ্যে সবেচেয়ে বেশি পশু কোরবানি করেন অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তিনি প্রতি বছর ২৫ থেকে ৩০টি গরু কোরবানি দেন। এর বাইরে খাসিও কোরবানি দেন এই অভিনেতা।  

পারিবারিকভাবে ঐতিহ্যবাহী গাবতলীর গরুর হাটের সঙ্গে জড়িত ডিপজল। পাকিস্তান আমল থেকে অধিকাংশ সময় এই হাট পরিচালনা করে আসছে তার পরিবার। এবারো গরুর হাটের ইজারা নিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ডিপজল রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘গাবতলীর গরুর হাট পাকিস্তান আমল থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আমরাই ডাকছি, আমরাই চালাইছি। এক সময় আমিও গরুর হাটে বসতাম, ভালোই লাগতো। এখন গরুর হাটে গেলে আমাদেরই ‘গরু’ বানায়া ফেলে। পাবলিক গরু দেখা বাদ দিয়ে আমাদের দিকে নজর দেয় বেশি। হাটে ভিড় জমে যায়। গরু বিক্রেতাদের অসুবিধা হয়। জটলা লেগে যায়। যে কারণে কম যাওয়া হয়।’

কোরবানির গরু কীভাবে কেনেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিপজল বলেন, ‘গরু আমি নিজেই পালি। নিজের পালা গরু প্রতিবছর কোরবানি দেই। ২৫-৩০টা গরু আমার দরকার হয়। হাট থেকে আমার গরু কিনতে হয় না।’

গরু পালনের কারণ ব্যাখ্যা করে ডিপজল বলেন, ‘সিনেমায় কাজ করার পর মানুষ আমাকে দেখলেই চিনে ফেলে। যে কারণে সিনেমায় আসার পর গরু কিনতে হাটে যাই না। গরু আমার শখের পশু। আমার বুঝ হওয়ার পর থেকে কখনো আমার ভিটা থেকে গরু সরেনি। আমি গরু পালি। গরু আমার ভালো লাগে। বিশেষ করে গরুর দুধ আমার প্রিয়। নিজের খামার থেকে গরুর খাঁটি দুধ পাওয়া যায়। এই দুধের জন্য গরু পালন করা।’

কোরবানির দিনের ব্যস্ততার কথা জানিয়ে ডিপজল বলেন, ‘প্রতিবার যা করি, এবারো আমার বাড়িতে ঈদের আয়োজন সেভাবেই হয়েছে। ঈদের নামাজ পড়ে কোরবানি দিছি। মাংস ব্যাগে ভরে প্রায় ৩ হাজার মানুষের মধ্যে বিতরণ করছি। এ কাজ আমরা নিয়মিত করি। এ ছাড়া আত্মীয়-স্বজন, বিশেষ করে বোনেদের বাসায় কোরবানির মাংস পাঠাই।’ 

ছোটবেলার গরু কেনার স্মৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে গরুর হাটে যেতাম। এমন অনেক স্মৃতি আছে। অসংখ্যবার গরুর হাটে গেছি। একবার গরু কিনে বাড়ি ফিরছিলাম। আমি দড়ি ধরা ছিলাম। হঠাৎ গরু দৌড় দেয়ায় আমার হাত-পা কাইটা গেছিল।’

মনোয়ার হোসেন ডিপজলের একমাত্র কন্যা ওলিজা মনোয়ার। বাবার সঙ্গে ঈদের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন কাজিনদের সঙ্গে মিরপুর মসজিদে নামাজ পড়তে যেতাম। ঈদগাহ থেকে বাবা ফিরে এসে আমাদের হাতে বানানো বিশেষ খাবার খেতেন। এখনো প্রত্যেক ঈদে বাবার জন্য বিভিন্ন পদের খাবার রান্না করি।’ 

মুসলমানদের পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে খাসির মাংস বিতরণ করেন ডিপজল। উল্লেখ করে ওলিজা মনোয়ার বলেন, ‘আমরা মুসলিমদের পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের খাসির মাংস বিতরণ করি। এ ছাড়া উটের মাংসও বিতরণ করি।’

রাহাত//

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়