ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ভয়ের কিছু নেই, আইনিভাবে মোকাবিলা করব: পরীমণি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৭:৩৯, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
ভয়ের কিছু নেই, আইনিভাবে মোকাবিলা করব: পরীমণি

পরীমণি

ঢাকাই সিনেমার বহুল আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত আজ তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। এ খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা চলছে। নানাজন নানারকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। নির্মাতা আশফাক নিপুণ, নায়িকা মাহিয়া মাহিসহ অনেকেই বিষয়টি নিয়ে মত প্রকাশ করেছেন।

আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবরটি পেয়েছেন পরীমণি। এ বিষয়ে একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে খবরটা দেখলাম। আমি আজ আদালতে যেতে পারিনি। এর আগেও একবার যেতে পারিনি, সেবার আমার মৃত নানুর একটা বিষয় ছিল। সে হিসেবে পরপর দুবার আমি আদালতে যেতে পারিনি। আজকে আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাজির থাকতে পারিনি। আমার আইনজীবীকে তা জানিয়েছিও। আদালতের ভাষ্য অনুযায়ী, আজকে আমার অবশ্যই যাওয়া উচিত ছিল। সচেতন নাগরিক হিসেবেও মনে করছি, যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু শরীর অনেক বেশি খারাপ ছিল। শরীর অসুস্থ থাকলে তো কিছু করার নেই। আমি বিছানা থেকে ওঠার মতো শক্তিও পাচ্ছিলাম না। ঠিক থাকলে আমি তো আদালতে যেতাম। আদালতে যাওয়া নিয়ে আমার কখনো কোনো সমস্যা ছিল না। মাতৃত্বকালীন সময়টায়ও কিন্তু আমি আদালতে যাওয়া বাদ দিইনি।”

আরো পড়ুন:

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বাড়তি যন্ত্রণার মধ্যে পড়েছেন পরীমণি। তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “পরিচিত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সবাই অনবরত ফোন করছেন, খোঁজখবর নিতে। এটা তো আমার জন্য বাড়তি একটা যন্ত্রণা। বিব্রতকরও। উটকো ঝামেলা বলতে পারেন।”

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে চিন্তিত নন পরীমণি। কারণ আইনিভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করতে চান। এ বিষয়ে পরীমণি বলেন, “এখানে ভয়ের কিছু নেই। আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করব। জামিনের জন্য আবেদন করবেন আমার আইনজীবী।”

এদিকে, গতকাল রাতে ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরীমণি। অনেকেই সেই পোস্টের সঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশের ‘যোগসূত্রের’ কথা বলছেন। এ বিষয়ে পরীমণি তার ভাবনার কথা জানিয়ে বলেন, “যে যা মন চায় করুক। যা মন চায় ভাবুক— এসব নিয়ে আমি কিছুই ভাবতে চাই না। আমার কোনো কিছুতে সমস্যা মনে হলে আমি কথা বলবই। আমার গায়ে লাগলে আমি কাউকে ছেড়ে কথা বলব না। সবার মতো আমি চুপ করে থাকতে পারি না। যেকোনো অন্যায় নিয়ে আমি কথা বলছি। এই অন্যায় নিয়ে কথা বলার কারণে আমাকে যদি বারবার জেলে যেতে হয়, আমি গেলাম। আর কী করব। কিছু হলেই জেলে পাঠাবে, তাহলে তো দেশের কেউ কথাই বলবে না। সবাই বোবা হয়ে থাকবে? আমৃত্যু আমি অন্যায় দেখলে কথা বলব, যা আছে কপালে।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়