আমি কাঁদতে কাঁদতে খুশির ঘরে যাই, মায়ের মৃত্যু নিয়ে জাহ্নবী
মা-বাবার সঙ্গে জাহ্নবী-খুশি
বলিউডের রুপালি দুনিয়া দাপিয়ে বেড়ানো অভিনেত্রী শ্রীদেবী। পর্দায় তার উপস্থিতি বিবর্ণ করে দিয়েছে বহু নায়ককে। শিফন শাড়িতে মুগ্ধতা ছড়ানো এই অভিনেত্রীর রূপের দ্যুতি ভোলার নয়। তবে মৃত্যু তার গতিশীল জীবনকে থামিয়ে দিয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনে শ্রীদেবী বিয়ে করেছিলেন নির্মাতা-অভিনেতা বনি কাপুরকে। এ সংসারে তাদের দুই মেয়ে— জাহ্নবী কাপুর ও খুশি কাপুর। বেশ আগে বলিউডে পা রেখে সুনাম কুড়িয়েছেন শ্রীদেবীর বড় মেয়ে জাহ্নবী। বছর দুয়েক আগে ছোট কন্যা খুশি কাপুরেরও চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছে।
দুবাইয়ে মারা যান শ্রীদেবী। মায়ের মৃত্যুর খবর কীভাবে পেয়েছিলেন জাহ্নবী-খুশি? এর আগে ‘কফি উইথ করন’ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে সেই স্মৃতিচারণ করেন ‘ধড়ক’ তারকা জাহ্নবী।
জাহ্নবী কাপুর বলেন, “আমি যখন ফোন পেলাম, তখন আমি আমার ঘরে ছিলাম। আর খুশির ঘর থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমিও কাঁদতে কাঁদতে খুশির ঘরে যাই।”
পরের ঘটনা বর্ণনা করে জাহ্নবী কাপুর বলেন, “ঘরে যাওয়ার পর খুশি আমার দিকে তাকাল, আমার দিকে তাকানোর সঙ্গে সঙ্গে তার কান্না থেমে যায়। আমার দিকে এক মিনিট তাকিয়ে ছিল। এরপর সে আমার পাশে বসে আমাকে সান্ত্বনা দিতে শুরু করল। তারপর আমি তাকে কখনো এ নিয়ে কাঁদতে দেখিনি।”
মায়ের শূন্যতা গভীরভাবে অনুভব করেন জাহ্নবী-খুশি। তা উল্লেখ করে জাহ্নবী বলেন, “এ নিয়ে আমরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। কিন্তু তা দেখাই না। আমার মনে হয়, নতুন এই বাস্তবতা গ্রহণ করতে হবে।”
২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দুবাইয়ে মৃত্যুবরণ করেন শ্রীদেবী। তখন জাহ্নবীর বয়স ২১, আর খুশি কাপুরের বয়স ছিল ১৭ বছর।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ঢাকা/শান্ত