আইয়ুব বাচ্চুকে কবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সেলিব্রেট করা হবে, প্রশ্ন ফারুকীর
আয়ুব বাচ্চু, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সামাজিক মাধ্যমে সরব থাকেন। সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে মতামত দেন। এবার জানালেন, লালনের তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রশ্ন রেখেছেন—বাংলাদেশি ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করতে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে?
বুধবার (২৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে ফারুকী লিখেছেন, “একটা দেশকে ফিজিক্যাল কলোনি বানানোর আগে প্রথম যে কাজটা করতে হয়, সেটা হচ্ছে তাকে ইন্টেলেকচুয়াল কলোনিতে রূপান্তরিত করা। তাকে প্রতিনিয়ত বোঝানো যে, তোমার কোনো সংস্কৃতি নাই। থাকলেও তোমার সংস্কৃতি লো কালচার।”
গৌরবময় ঐশ্বর্যগুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির বাইরে রাখার বিষয় উল্লেখ করে ফারুকী লেখেন, “লালনের গানকে হাই আর্ট হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে ‘ফোক’ বা সাব কালচার ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। আবার রক মিউজিককে বলা হয়েছে ‘অপসংস্কৃতি’। এইভাবে আমাদের রাষ্ট্র বা এস্টাবলিশমেন্ট চিরকাল আমাদের গৌরবময় ঐশ্বর্যগুলোকে রাষ্ট্রীয় উদযাপন ও স্বীকৃতির বাইরে রেখেছে।”
ক্যাবিনেটে আলোচিত বিষয়ে ফারুকী লেখেন, “আজকে ক্যাবিনেটে লালনের তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে এস এম সুলতানের জন্মদিনকেও ‘ক’ শ্রেণির দিবস হিসেবে উদযাপন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া হুমায়ূন আহমেদসহ স্বাধীনতা-পরবর্তী বড় সাংস্কৃতিক ঘটনাগুলো নিয়েও কথা হয়েছে। বাংলাদেশি রক আইকনদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সেলিব্রেট করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।”
ফারুকীর মতে, “লালনকে সেলিব্রেট করা দিয়ে আমরা রবীন্দ্র-নজরুলের বাইরে তাকাতে শুরু করলাম। এটা কেবল শুরু। আমি নিশ্চিত সেদিন বেশি দূরে নয়, যখন কনটেমপোরারি মাস্টার আর্টিস্টদেরও রাষ্ট্রীয়ভাবে সেলিব্রেট করব।”
সবশেষে আইয়ুব বাচ্চুর প্রসঙ্গ টেনে ফারুকী লেখেন, “বাংলাদেশের এমন কোনো বর্গকিলোমিটার এলাকা পাওয়া যাবে না, যেখানে তার গান বাজে নাই। তাঁর মানের মিউজিশিয়ান যেকোনো দেশের জন্যই গর্বের। তাঁর জন্মদিন রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করতে মৃত্যুর কত শ বছর পর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে? দ্য আনসার, মাই ফ্রেন্ড, ইজ ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত