ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

আশা-লতা মঙ্গেশকরের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ রফি পুত্রের গুরুতর অভিযোগ

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ২১:৩২, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আশা-লতা মঙ্গেশকরের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ রফি পুত্রের গুরুতর অভিযোগ

আশা ভোঁসলে, লতা মঙ্গেশকর ও মোহাম্মদ রফি (বাঁ থেকে)

ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ রফি। এক সময় বলিউড প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে রাজত্ব করেছেন। ১৯৮০ সালের ৩১ জুলাই মারা গেলেও তার গানের কদর এখনো কমেনি। এ গায়কের পুত্র শহিদ রফি অভিযোগ করেছেন—বরেণ্য সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোঁসলে তার বাবার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।  

শহিদ রফি জোর দিয়ে বলেন যে, তার বাবার সঙ্গে পুরুষ সহশিল্পীদের সম্পর্ক সবসময় সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল, তবে নারী শিল্পীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা ছিল। সাংবাদিক ভিকি লালওয়ানিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শহিদ রফি বলেন, “উনারা (নারী গায়িকারা) হিংসা করতেন, কারণ রফি সাহেব সবার উপরে ছিলেন; তারা চাইতেন সবাই তাদের নিচে থাকুক। মানুষ তাকে নাম্বার ওয়ান বলতেন, এটা তাদের ভালো লাগত না। আমি কোথাও শুনেছি, ‘রফি সাব নাকি ৯ বছর বাসায় বসেছিলেন, হতাশায় ভুগছিলেন।’ প্লিজ! আপনি সত্তর দশকের যেকোনো গান শুনুন।” 

আরো পড়ুন:

মোহাম্মদ রফি সংগীত জগত থেকে অল্প কিছু সময় অনুপস্থিত ছিলেন। তবে এটা পেশাগত কোনো সমস্যা ছিল না। বরং ধর্মীয় এক নেতা গান গাওয়াকে ‘পাপ’ বলায় কিছু দিন গান গাওয়া বন্ধ করেছিলেন। পরে মোহাম্মদ রফি আবার গানে ফিরেন বলে দাবি শহিদের। 

আরেকটি ঘটনা বর্ণনা করে শহিদ রফি বলেন, “আমি কারো সামনে বলতে দ্বিধা করব না। এটা আমি লতাজিকেও তার জীবদ্দশায় বলেছিলাম। লতাজি অভিযোগ করেছিলেন, ‘রফি সাহেবের ক্যারিয়ার পড়তির দিকে যাচ্ছিল এবং সে তাকে ক্ষমা করতে বলেছিল।’ সে কখনো এটা বলেনি। আমি আপনাকে বলতে পারি, লতা জি-ই এই কথা বলেছিলেন এবং ‘দুজন মানুষ বাবার কাছে এসে লতাজিকে ক্ষমা করতে বলেছিলেন।’ তখন অনেক নতুন গায়ক উঠে আসছিলেন, এমনকি তার নিজের বোনও। তিনি নিরাপত্তহীনতায় ভুগছিলেন। তাহলে আমাকে বলুন, কে তখন পতনের মুখে ছিল?” 

বরেণ্য সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ রফির পুত্র শহিদ রফি


হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শহিদ রফি বলেন, “তখন আমাদের জন্যও বাবার সময় ছিল না। আমার বাবার বিরুদ্ধে খারাপ কিছু বললে, আমি কখনো সহ্য করব না। আমি চুপ থাকব না, সে যেই হোক না কেন। আমার বাবা আমার বাবা ছিলেন। আমি জানি তিনি কোথায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।” 

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে যখন রফিকে সম্মান জানানো হচ্ছিল, তখন লতা মঙ্গেশকর ‘হস্তক্ষেপ’ করেন। সর্বশেষ সেই স্বীকৃতি লতা মঙ্গেশকর নিজেই পান। রফি সাহেব তখন বিষয়টি চেপে যান বলেও অভিযোগ শহিদের। 

আশা ভোঁসেলের কথিত মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শহিদ। তিনি বলেন, “আপনি শিক্ষিত মানুষ, একটু লজ্জা থাকা উচিত। এই বয়সে এসেও এসব কথা? আমি ওনাকে সরাসরি বলছি। উপরে আল্লাহ বসে আছেন। কেউ যদি আমার বাবার সম্পর্কে খারাপ কিছু বলে, আমি সহ্য করতে পারি না। আপনার যথেষ্ট বয়স হয়েছে, আপনি নিজেকে নিয়ে বলুন।”

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ঢাকা/শান্ত

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়