ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

হামাস কী

অন্য দুনিয়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৯, ২৫ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১১:১১, ২৫ জানুয়ারি ২০২৪
হামাস কী

হামাস হচ্ছে ফিলিস্তিনি একটি গোষ্ঠী। বিবিসির তথ্য, হামাস একটি  ইসলামি সশস্ত্র গোষ্ঠী। মূলত ইরান হামাসকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দেয়। এবং এই দেশটি হামাসকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। হামাস গোষ্ঠী গাজা উপত্যকা শাসন করে। তারা ২০০৭ সালে ইসরায়েলকে হঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে। 

উইকিপিডিয়ার তথ্য, ২০০৭ সাল থেকে হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।এ গোষ্ঠী ঐতিহাসিকভাবে ইসরায়েল, পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকার সম্মিলিত অঞ্চলের উপর একটি ইসলামী ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র চায় এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রত্যাখ্যান করে। হামাস সনদ ১৯৮৮ সালে নিশ্চিত করে যে হামাস আধুনিক ইজরায়েলসহ ফিলিস্তিনকে ইসরায়েলি দখল থেকে মুক্ত করতে এবং বর্তমানে ইসরায়েল, পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকা এলাকায় একটি ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

বিবিসির তথ্য, বর্তমানে পশ্চিম তীর এবং গাজা এগুলো ফিলিস্তিনি অঞ্চল হিসাবে পরিচিত। রোমান সময়ে পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েলও ফিলিস্তিন নামে পরিচিত ছিল। এদিকে বাইবেলে ওই অঞ্চলে একটি ইহুদি রাজ্যের কথা উল্লেখ্য আছে। সেজন্য ইহুদিরা ওই অঞ্চলকে তাদের প্রাচীন মাতৃভূমি হিসাবে দাবী করে থাকে। ইসরায়েল একটি রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৮ সালে। যারা এখনও ইসরায়েলের অস্তিত্বকে স্বীকার করেনা তারা ওই অঞ্চলকে এখনও ফিলিস্তিন হিসেবে উল্লেখ করে। আবার ফিলিস্তিনিরাও পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেমকে একসঙ্গে ফিলিস্তিন নামে ডাকে।

বিশ্ব রাজনীতি হামাসকে কেন্দ্র করে দ্বিমত পোষণ করে। ইসরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি অন্যান্য অনেক প্রভাবশালী দেশ হামাসকে একটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ বলে ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে হামাসের সামরিক শাখাকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ বলে থাকে এসব দেশ। তবে ইরান, রাশিয়া, তুরস্ক , চীন, সিরিয়া হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে না।

/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়