ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

বিদায় আষাঢ়, আসছে শ্রাবণ 

শাহ মতিন টিপু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৫, ১৪ জুলাই ২০২২   আপডেট: ১১:৫৮, ১৪ জুলাই ২০২২
বিদায় আষাঢ়, আসছে শ্রাবণ 

‘আবার শ্রাবণ এলো ফিরে তেমনি ময়ুর ডাকে, দোলনা কেন বাঁধলে না গো এবার কদম-শাখে।’জাতীয় কবি কাজী নজরুল তাঁর গানে এভাবেই শ্রাবণকে স্মরণ করেছেন। 

ক্যালেন্ডার বলছে, আজ ৩০ আষাঢ় অর্থাৎ আষাঢ়ের শেষ হতে আর মাত্র এক দিন বাকি। আষাঢ়ের বিদায় বেলাতেও বৃষ্টি নেই। প্রাণজুড়ানো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মেলেনি দেশের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। সেইসঙ্গে চলছে রোদেরও দাপট। বোঝা দায়— দিনগুলো বর্ষাকালের নাকি গ্রীষ্মের! বলা যায়, বর্ষার বর্ষণের দেখা মিলতে না মিলতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে এবারের বর্ষাকালের প্রথম মাস আষাঢ়।

বলা হয়, শ্রাবণ মানে অঝোর ধারায় বর্ষণ। জলবায়ু পরিবর্তনের পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে আগাম পূর্বাভাসে আষাঢ়ের বিদায়ের একদিন আগেই সুখবর দেয় আবহাওয়া অফিস। তাদের তথ্য বলছে, উড়িষ্যা উপকূলের অদূরবর্তী উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি কেটে গেলেই শুরু হবে বর্ষার দাপট। কিন্তু আষাঢ়ের শেষ বেলাতেও বর্ষার তেমন দাপটের কোনো কিছুই দেখা যায়নি।

আবহাওয়াবিদ ড. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, উড়িষ্যা উপকূলের লঘুচাপের কারণেই দেশের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে খুব একটা বৃষ্টি এখনো হয়নি। লঘুচাপটি কেটে গেলে শনিবার (১৬ জুলাই) অর্থাৎ শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন থেকেই বাড়বে বৃষ্টির প্রবণতা। বর্ষণে ভিজবে উত্তরের জনপদ। প্রাণ ফিরে পাবে বর্ষা।

আমাদের সবারই জানা, আষাঢ় ও শ্রাবণ-দুই মাস বর্ষাকাল। আর বর্ষাকাল মানেই মেঘ, বৃষ্টি, প্রেম, নতুন প্রাণ, জেগে ওঠার গান। রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন, ‘এই জল ভালো লাগে;- বৃষ্টির রুপালি জল কত দিন এসে/ধুয়েছে আমার দেহ- বুলায়ে দিয়েছে চুল- চোখের উপরে/তার শান্ত স্নিগ্ধ হাত রেখে কত খেলিয়াছে,- আবেগের ভরে।’ 

আসলে বর্ষা আমাদের মনকে স্নিগ্ধ করে তোলে। পুরনো জঞ্জাল ধুয়েমুছে আমরাও জেগে উঠি প্রাণচাঞ্চল্যে। আষাঢ় তো বৃষ্টি নিয়েই শুরু হয়েছিলো।  শ্রাবণও তার ধারা বজায় রেখে অবিরাম বর্ষণে সিক্ত করুক এই ধরা। 

/টিপু/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়