ঢাকা     সোমবার   ০৬ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

মাশরুম কফিনে মানুষ হবে গাছের খাবার

ফিচার ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৪:১৭, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
মাশরুম কফিনে মানুষ হবে গাছের খাবার

মানুষ শাক-সবজি খায়। আর শাক সবজি মাটি থেকে পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে। এবার এক ডাচ বিজ্ঞানী মানুষের মৃতদেহের পুষ্টিগুণ গাছের খাবারে পরিণত করতে চান। আর সেজন্য বব হেনড্রিক্স নামের ওই বিজ্ঞানী উদ্ভাবন করেছেন অভিনব এক কফিন। এর নাম দিয়েছেন মাশরুম কফিন।

সাধারণত একটি কাঠের কফিন পঁচে-গলে মাটিতে মিশে যেতে সময় নেয় প্রায় বিশ বছর। সেখানে এই অভিনব কফিনটি মাটিতে মিশে যেতে সময় নেবে মাত্র ছয় সপ্তাহ।

মাশরুম কফিনের রং সাদা। এটি মাশরুমের শেকড় তৈরিতে সাহায্যকারী মাইসেলিয়াম আর হেম্পের আঁশ দিয়ে তৈরি। দেখতে মিশরীয় স্যারকোফ্যাগাস বা মমির কফিনের সঙ্গে মিল রয়েছে। পচনশীল এই কফিন খুব দ্রুত মাটিতে মিশে যায়।

লুপ বায়োটেক কোম্পানি এই কফিন বাজারজাত করছে। মাশরুম কফিনের উদ্ভাবক বব হেনড্রিক্সের বয়স মাত্র ২৯। এই বিজ্ঞানী মনে করেন, এই পদ্ধতিতে মাটিতে মিশে গিয়ে  মৃত্যুর পরেও পরিবেশের মাধ্যমে বেঁচে থাকা অসম্ভব আনন্দের হতে পারে।

পরিবেশ ও পরিবেশের নানা উপাদান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। বিশেষ করে মাশরুম নিয়ে তার রয়েছে গবেষণালব্ধ জ্ঞান। তার মতে, মাশরুম হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রিসাইক্লার। এই থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, মানুষের জীবনচক্রেও মাশরুম ব্যবহার করবেন। এরপরেই মাশরুম কফিন বানানোর উদ্যোগ নেন।

ইতিমধ্যে দেশ ও দেশের বাইরে নানা স্থানে মাশরুম কফিন বিক্রি শুরু হয়েছে। মৃত্যের শেষকৃত্যের আরেকটি উপায় হচ্ছে পোড়ানো। সেক্ষেত্রে কফিনের দরকার নেই। তারপরেও মৃতের দেহপোড়া ছাই পরিবেশের কাজে লাগাতে আরেকটি পাত্র তৈরি করেছেন এই বিজ্ঞানী। ওই ছাইপাত্রে পছন্দের গাছ লাগানো যাবে। বব হেনড্রিক্সের মত হলো, মৃতের শরীরের জৈব পদার্থকে কেন আমরা উদ্ভিদের জীবনে পরিণত করবো না?

তথ্যসূত্র: সিএনএন
 

/স্বরলিপি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়