অপেক্ষায় অপ্রতিরোধ্য চাটমোহর
|| রাইজিংবিডি.কম
আবদুল মান্নান পলাশ
চাটমোহর (পাবনা), ১৭ জুলাই: মুক্তিযোদ্ধাদের ভাষ্কর্য বসানো হয়ে গেছে। কাজ চলছে স্তম্ভের বেদীর, টাইলস লাগানো হবে। তারপরই উন্মোচিত হবে বহু প্রতিক্ষীত মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ‘অপ্রতিরোধ্য চাটমোহর’।
চলতি বছরের ২৯ মার্চ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মমিন মুজিবুল হক টুটুল সমাজী। তার সাথে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
উপজেলা প্রকৌশলী ও ভাস্কর্য নির্মাণ তদারককারী মনিরুল ইসলাম জানান, প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ঢাকা থেকে ভাস্কর্য এনে ইতোমধ্যেই বেদীতে বসানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই কাজটি শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
শহরের প্রবেশদ্বারে চাটমোহর-পাবনা ও ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুরমুখী সড়কের ভাদড়া বাইপাস সড়কের মোড়ে ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে। মথুরাপুর ইউনিয়ন কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অমল ডি কস্তা বলেন, ভাস্কর্যটি এখানে স্থাপন করায় এলাকার চেহারাই পাল্টে গেছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষ দেখতে আসছে।
মানবাধিকার কর্মী রোজলিন কস্তা বলেন, গর্ববোধ করছি এই ভেবে যে মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি সুন্দর ভাস্কর্য আমাদের এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এলজিইড’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ প্রকল্পের পরিচালক মমিন মুজিবুল হক রাইজিংবিডিকে বলেন, আমি খুব খুশি যে ভাস্কর্যটি একটি সুন্দর জায়গায় স্থাপন করতে পেরেছি। শহরের ঢুকবার প্রবেশ পথেই মানুষ এটি দেখতে পাবে।
তিনি বলেন, প্রায় ২১ লাখ টাকার এ প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে বলে আশা করছি। কাজ শেষ হলে একজন মন্ত্রীর মাধ্যমে এটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মোচিত করার পরিকল্পনা রয়েছে ।
১০ ফুট উচ্চতার অপতিরোধ্য চাটমোহরের মূলবেদীর উপর ৫ জন নারী-পুরুষ মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। ভাস্কর্যের পেছনে থাকবে একটি লাল সূর্য। এটি নির্মান করে দিয়েছেন ভাস্কর্য শিল্পী মৃণাল হক ।
রাইজিংবিডি / শামটি
রাইজিংবিডি.কম