ঢাকা     বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের নির্বাচনে প্রার্থী হতে দিচ্ছে না মিয়ানমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫১, ২৫ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ০১:৩৫, ২৬ আগস্ট ২০২০
রোহিঙ্গাদের নির্বাচনে প্রার্থী হতে দিচ্ছে না মিয়ানমার

উচ্চাকাঙ্ক্ষী রাজনীতিবিদ আব্দুল রশিদের জন্ম মিয়ানমারেই। হাতেগোনা যে কয়জন রোহিঙ্গা দেশটির নাগরিকত্ব পেয়েছেন তাদের মধ্যে তিনি এক জন। তার বাবা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। তবে নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না আব্দুল রশিদ। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে তিনি বিদেশি বংশোদ্ভূত।

আগামী ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন। অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারে যোগ দিতে এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে আবেদন করেছিলেন অন্তত ১২ জন রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ। জন্মের সময় বাবা-মা মিয়ানমারের নাগরিক ছিলেন এমন প্রমাণ দিতে ব্যর্থতার অভিযোগে এদের মধ্যে ছয় জনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে।

ইয়াঙ্গুনে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিনিধিকে আব্দুল রশিদ তার কাছে থাকা সব সরকারি কাগজপত্র দেখিয়েছেন। 

তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে দেওয়া সরকারের দেওয়া সব কাগজপত্র এগুলো। আমার বাবা-মা এই দেশের নাগরিক ছিল তারা সেটা মানতে চাইছে না। আমি এতে খারাপ ও উদ্বিগ্ন বোধ করছি।’

সামরিক শাসন থেকে সরে এসে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে নির্বাচন মিয়ানমারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। অবশ্য অধিকার গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের নির্বচানে প্রার্থী হতে বাধা দেওয়া দেশটির গণতান্ত্রিক সংস্কারের সীমাবদ্ধতার প্রতিই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বার্মা রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকে’র প্রধান তুন খিন বলেন, ‘জাতি বা ধর্ম নির্বিশেষে মিয়ানমারের সবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সমান সুযোগ অবশ্যই থাকা উচিত।’ মিয়ানমারের নির্বাচন সংস্থাকে অনুদান দেওয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ‘রোহিঙ্গা’ হিসেবে কিংবা সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করে। ২০১৭ সালে দেশটির সেনাবাহিনীর নিধন অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে প্রায় সাত লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

ঢাকা/শাহেদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়