ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্যাংগংয়ে ১০০-২০০ রাউন্ড গুলি চলেছিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪০, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০  
সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্যাংগংয়ে ১০০-২০০ রাউন্ড গুলি চলেছিল

জুনে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীনা সেনাদের সঙ্গে সহিংসতায় ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হন। ওই ঘটনার রেশ না কাটতেই ২৯ আগস্ট থেকে শুরু করে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একই এলাকায় অন্তত চারটি চীনা আগ্রাসনের ঘটনা ঘটে। একই সময়ের মধ্যে ৪৫ বছরের রীতি ভেঙে দুই পক্ষ গুলি চালিয়েছিল বলে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জানালেন এক ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার ও এনডিটিভি ওই কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্যাংগং হ্রদ এলাকায় ১০০ থেকে ২০০ রাউন্ড গুলি চলেছিল। তবে দুপক্ষই শূন্যে গুলি চালিয়েছিল বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

সেনা কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, প্যাংগংয়ের উত্তর উপকূলে ফিঙ্গার ৩ ও ফিঙ্গার ৪ এর সংযোগস্থলে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ৭ সেপ্টেম্বর শূন্যে গুলি চালানোর ঘটনা আগেই সামনে এসেছিল। চীনা সেনাদের নজর এড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট ভারতীয় সেনারা দখল করে নেয়। ভারতীয় সেনাদের সরাতে সশস্ত্র চীনা বাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে। তবে শূন্যে গুলি চালিয়ে ফিরে যায়। 

ওই ঘটনা নিয়ে নয়াদিল্লি-বেইজিং দুপক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলে বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু বড় মাপের গোলাগুলির ঘটনা নিয়ে এখনও কোনও পক্ষই বিবৃতি দেয়নি। ওই সরকারি সূত্র জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্যাংগংয়ের উত্তর ও দক্ষিণ দুই দিকেই দুপক্ষের সেনার মধ্যে প্রচুর নড়াচড়া লক্ষ করা গেছে। তার মধ্যে ‘একাধিক গুলি বিনিময়’ হয়।

ওই সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, ২৯-৩০ আগস্ট রাতে চীন সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে দখলের চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতের সেনারা তাদের প্রচেষ্টা রুখে দিলেই আগ্রাসী হয়ে ওঠে চীনের পিপল’স লিবারেশন আর্মি (পিএলও)। কারণ ভারত তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। তাই ভারতীয় সেনাকে সরাতে মরিয়া হয়ে ওঠার জেরে এত বড় ঘটনা ঘটে। যে এলাকায় গুলি চলেছে, সেখানে দুপক্ষের সেনার মধ্যে দূরত্ব ৫০০ মিটারের মতো বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

তবে ১০ সেপ্টেম্বর দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠকের পর উত্তেজনা কমেছে বলেও জানিয়েছে এই সরকারি সূত্রটি। তিনি বলেছেন, ‘এখন পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত। কারণ, দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মস্কোয় বৈঠক করেছেন। ওই আলোচনার ওপর এখন নয়াদিল্লি-বেইজিং দুই পক্ষেরই নজর ও গুরুত্ব বেড়েছে।’

ঢাকা/ফাহিম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়