ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের পথে এগিয়ে যাচ্ছে সৌদি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

কয়েক মাস ধরে সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে বাইডেন প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে তাদের দুই মিত্রের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক শীর্ষ অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ বিষয়টিকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মার্কিন চ্যানেল ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তির দিকে আমরা প্রতিদিন ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছি।’
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিনিময়ে ওয়াশিংটনের কাছে প্রতিরক্ষা সুবিধা চেয়েছে রিয়াদ। এর আওতায় মার্কিন অস্ত্র বিক্রিতে কম বিধিনিষেধসহ বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচির বিকাশে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া রিয়াদ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে অগ্রগতির ব্যাপারে যে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে চায়।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন জানিয়েছেন, শিগগির একটি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন।
ইসরায়েলের আর্মি রেডিওকে তিনি বলেন, ‘শূন্যস্থান পূরণ করা যেতে পারে। আমি মনে করি অবশ্যই একটি সম্ভাবনা আছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে আমরা এমন একটি পর্যায়ে যেতে সক্ষম হব যেখানে চুক্তির বিবরণ চূড়ান্ত করা হবে।’
চুক্তির ক্ষেত্রে সৌদি আরবের পারমাণবিক কর্মসূচির আকাঙ্ক্ষাকে কোনো বাধা বলে মনে করা হচ্ছে না। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হ্যানেগবি জুলাই মাসে বলেছিলেন, ‘বেশ কয়েকটি দেশের বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি রয়েছে। এটি এমন কিছু নয় যেটি তাদের বা তাদের প্রতিবেশীদের বিপদে ফেলতে পারে।’
এদিকে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি আরো সম্প্রসারণ করেছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর সামরিক অভিযান আগের তুলনায় আরও জোরদার করেছে।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল রিয়াদে গিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকে সৌদি আরবকে সম্মতি দেওয়ার বিনিময়ে নিজেদের শর্ত পূরণের জন্য চাপ দিয়েছে। শর্তের মধ্যে রয়েছে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে মার্কিন কনস্যুলেট পুনরায় চালু করা। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিত্বকে সমর্থনের দাবি জানানো হয়েছে । অন্যান্য শর্তের মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু এলাকায় ফিলিস্তিনকে আরও নিয়ন্ত্রণ দেওয়া এবং ইসরায়েলের অবৈধ ফাঁড়িগুলো সরিয়ে নেওয়া।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো চুক্তি না করার বিষয়ে সৌদি আরবকে সতর্ক করেছে। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে স্কাই নিউজকে তিনি বলেন, এই ধরনের চুক্তি হবে ফিলিস্তিনের জনগণের ও তাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থার পিঠে ছুরিকাঘাত।
ঢাকা/ফিরোজ/শাহেদ
আরো পড়ুন