যুদ্ধে অংশ নিতে রাশিয়ায় পাচারের অভিযোগে নেপালে গ্রেপ্তার ১০
নেপালে বেকার যুবকদের ভ্রমণ ভিসার কথা বলে পরবর্তীতে তাদেরকে রাশিয়ান সেনাবাহিনী অবৈধ নিয়োগের জন্য পাঠানোর অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কাঠমান্ডু পুলিশ।
বুধবার (৬) ডিসেম্বর কাঠমান্ডু পুলিশের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছুদিন আগেই নেপাল তাদের নাগরিকদের রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে নিয়োগ না করার জন্য মস্কোকে স্পষ্ট করে জানিয়েছে। এছাড়া রুশ সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ৬ নেপালি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনার পর তাদের সশস্ত্র বাহিনীতে থাকা সব নেপালি সেনাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর জন্যও বলেছে।
কাঠমান্ডু জেলা পুলিশের প্রধান ভূপেন্দ্র খাত্রি বলেছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে আটকের পর ১০ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা মামলাটি নিয়ে সরকারি আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠাবো।’
খত্রি বলেন, ‘আটক ব্যক্তিরা অবৈধভাবে প্রত্যেক ব্যক্তির কাছ থেকে ৯ হাজার ডলার পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে। পর্যটন ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে রাশিয়ায় মানব পাচার করেছে। পর্যটন ভিসার নাম করে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পরবর্তীতে রুশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
কাঠমান্ডু পুলিশ প্রধান আরও বলেন, ‘এটি মানব পাচারের একটি মামলা...সংগঠিত অপরাধ।’
রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলা চালায়। তখন থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ লিপ্ত রয়েছে দেশটি। রাশিয়ার কাছে যুদ্ধে নিহত নেপালি নাগরিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেছে নেপাল।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারত ও ব্রিটেন ছাড়া অন্য কোনও দেশ নেপালের নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে নিযুক্ত করতে পারে না।
‘গুর্খা’ নামে পরিচিত নেপালি সেনারা বীরত্ব ও যুদ্ধ দক্ষতার জন্য পরিচিত। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে তিনটি দেশের মধ্যে একটি চুক্তির অধীনে গুর্খা সেনারা ব্রিটিশ ও ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সেবা দিয়ে আসছে। রাশিয়ার সঙ্গে নেপালের এ ধরনের কোনো চুক্তি নেই।
/ফিরোজ/