৩০ ঘণ্টা ধরে স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে ধর্নায় পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকরা
৩০ ঘণ্টা ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ভবনের বাইরে অবস্থান নিয়ে আছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। ঘড়ির কাঁটা যত এগোচ্ছে, তত ভিড় বাড়ছে অবস্থানস্থলে। বুধবার রাতে আনন্দবাজার অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
আর জি কর হাসপাতাল কাণ্ডের প্রতিবাদে একটানা আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টা থেকে ধর্নায় বসেছিলেন তারা। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে সেই থেকে টানা অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। দফায় দফায় মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ইমেইল চালাচালি হয়েছে। কখনও নবান্ন থেকে ইমেইল এসেছে, বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে। কখনও পাল্টা শর্ত দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কিন্তু বৈঠক নিয়ে সমাধান হয়নি।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় জুনিয়র চিকিৎসকদের ১২-১৫ জনের প্রতিনিধিদলকে ডাকা হয়েছিল নবান্নে আলোচনার জন্য। কিন্তু তাতে রাজি নন আন্দোলনকারীরা। তারা পাল্টা চারটি শর্ত দিয়েছেন। প্রথমত, অন্তত ৩০ জনের প্রতিনিধিদল থাকবে বৈঠকে। দ্বিতীয়ত, নবান্নে যে বৈঠক হবে, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তার লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে। তৃতীয়ত, আন্দোলনকারীরা যে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছিলেন আগে, সেই দাবিগুলোর উপরেই বৈঠকে আলোচনা হতে হবে। চতুর্থত, নবান্নে যে বৈঠক হবে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতে হবে।
তবে সন্ধ্যায় বৈঠকের জন্য নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর, নবান্ন থেকে সংবাদ সম্মেলন করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। চন্দ্রিমা সন্দেহ প্রকাশ করেন, এই আন্দোলনের মধ্যে রাজনীতি জড়িয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার খোলা মনে বসতে চাইছে। কোনো শর্ত সাপেক্ষে নয়। খোলা মন এবং শর্ত— দু’টি একসঙ্গে চলতে পারে না। অর্থাৎ, খোলা মন নেই। নির্যাতিতা বিচার পাক— ব্যাপারটি তা নয়। এর পিছনে রাজনীতির খেলা আছে। তাই এতটা সময় লাগছে এত কিছু চিন্তা ভাবনা করতে।’
এর জবাবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, এই আন্দোলনে কোনো রাজনীতি নেই। রাজ্য সরকার তাদের শর্তগুলো মেনে নিলেই আলোচনায় বসতে তারা প্রস্তুত।
ঢাকা/শাহেদ