ঢাকা     সোমবার   ১০ নভেম্বর ২০২৫ ||  কার্তিক ২৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

টিউলিপের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩০, ১১ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৫:৫৭, ১১ জানুয়ারি ২০২৫
টিউলিপের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকির অভিযোগ

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে দেশটির সংবাদমাধ্যমে।

টিউলিপ সিদ্দিক এক অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছিলেন বলে এবার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ২০১৭ সালের ঘটলেও, এর ভিডিওটি গতকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) পোস্ট করে সংবাদ প্রকাশ করেছে দ্য টেলিগ্রাফ।

আরো পড়ুন:

টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে। 

ভিডিওতে দেখা গেছে, ২০১৬ সালে শেখ হাসিনার শাসনামলে নিখোঁজ হওয়া ব্রিটিশ-বাংলাদেশি আইনজীবী ব্যারিস্টার আরমানের ব্যাপারে ২০১৭ সালে টিউলিপকে প্রশ্ন করেছিলেন চ্যানেল-৪ এর এক ব্রিটিশ সাংবাদিক।

জবাবে সাংবাদিকের উদ্দেশে টিউলিপ বলেছিলেন, “খুব সতর্ক থাকুন।”

টিউলিপ হুমকির সুরে বলেন, “আমি হ্যাম্পস্টেড এবং কিলবার্নের একজন লেবার এমপি। আমি একজন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য। খুব সাবধান থাকবেন।”

তিনি আরো বলেন, “আমি বাংলাদেশি নই এবং আপনি যার কথা বলছেন, তাদের মামলা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আমার বক্তব্য এখানেই শেষ।”

শেষের দিকে টিউলিপ অন্তঃসত্ত্বা সাংবাদিক ও প্রোডিউসার ডেইজি আইলিফকে বলেন, “এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ ডেইজি। আশা করি, তোমার সন্তান ভালোভাবে হবে। কারণ, প্রসব খুবই কঠিন। দেখা হবে।”

এরপরই তার একজন সহকারী ক্যামেরার সামনে হাত দিয়ে সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণ বন্ধ করতে বলেন। ওই সহকারী সাংবাদিকদের প্রশ্নগুলোকে অপ্রাসঙ্গিক ও বেপরোয়া মন্তব্য করে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

চ্যানেল-৪ নিউজের প্রধান সংবাদদাতা অ্যালেক্স থমসন টিউলিপ সিদ্দিকের সে মন্তব্যকে হুমকিস্বরূপ বলে অভিহিত করেছেন।

যদিও পরবর্তীতে টিউলিপ দাবি করেন যে, তার কথা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

অন্যদিকে ভুক্তভোগী সেই সাংবাদিক আইলিফ গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে তার পুরোনো অভিজ্ঞতা নতুন করে শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, “যখন আমি ২০১৭ সালে টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশের সঙ্গে তার রাজনৈতিক যোগসূত্র সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি, তখন তিনি আমাকে ‘সতর্ক থাকতে’ বলেন। এ ঘটনার পর অফকম, পুলিশ এবং আমার বসদের কাছে অভিযোগ করেন এমপি। যদিও কোনো অভিযোগ টিকেনি। কারণ, সৌভাগ্যবশত আসলে যা ঘটেছিল তা ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়েছে। যদি তা না হতো তাহলে তিনি আমার চাকরি খেয়ে দিতেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়