ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে পারেন ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ১ মার্চ ২০২৫   আপডেট: ১৬:৫১, ১ মার্চ ২০২৫
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে পারেন ট্রাম্প

ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহায়তা বন্ধের কথা বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। ওভাল অফিসে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পরে ওয়াশিংটন পোস্টকে এমনটাই বলেছেন হোয়াইট হাউজের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

শনিবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কিয়েভ পোস্ট। 

আরো পড়ুন:

শুক্রবার হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে বৈঠকে বাগবিতণ্ডায় জড়ান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।  উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার চুক্তি স্বাক্ষরের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। বাতিল করা হয় দুই নেতার যৌথ সংবাদ সম্মেলন। এর পরপরই হোয়াইট হাউজ থেকে জেলেনস্কিকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।

এদিনই হোয়াইট হাউজের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনে সমস্ত সামরিক সহায়তা বন্ধ করার কথা বিবেচনা করছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, “এই সিদ্ধান্তের ফলে ইউক্রেনে পাঠানোর অপেক্ষায় থাকা কোটি কোটি ডলারের রাডার, যানবাহন, গোলাবারুদ এবং ক্ষেপণাস্ত্র বন্ধ হয়ে যাবে।” 

ওই কর্মকর্তা জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল, এমন দাবিও খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, “বৈঠকের আগে ‘ইতিবাচক সুর’ দেওয়ার যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়েছিল।”

ওয়াশিংটন পোস্টের সূত্র অনুসারে, ট্রাম্প তাদের বৈঠকের আগে জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ বলে তার মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার মাধ্যমে এটি প্রতিফলিত হয়েছিল।

ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, “বাইডেন প্রশাসনের অধীনে ইউক্রেনের জন্য অনুমোদিত গোলাবারুদ এবং সরঞ্জামের চূড়ান্ত চালানসহ সব ধরনের মার্কিন সহায়তা ট্রাম্প প্রশাসন শিগগির সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে পারে।”

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ হামলার পর, বাইডেন প্রশাসন মার্কিন সামরিক সাহায্য প্রায় প্রতি দুই সপ্তাহ পরপর ঘোষণা করেছিল, কখনও কখনও মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে। সূত্রের বরাতে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেন্টাগনের মজুদ থেকে ইউক্রেনের জন্য প্রায় ৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার এখনও অনুমোদিত থাকায়, ট্রাম্প প্রশাসন এই চালানগুলো সরবরাহের আগেই তা বাতিল করতে পারে।

সাবেক বাইডেন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো থেকে ইউক্রেন সর্বশেষ যেসব অস্ত্র কিনেছে, তা আগামী ছয় মাসের মধ্যে পাঠানো হবে।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য পরোক্ষ সহায়তাও বন্ধ করতে দিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে: সামরিক অর্থায়ন, গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি, ইউক্রেনীয় সেনা ও পাইলটদের প্রশিক্ষণ এবং জার্মানির একটি ঘাঁটি থেকে আন্তর্জাতিক সাহায্যের মার্কিন সামরিক সমন্বয়।

নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ওভাল অফিসে শুক্রবারের ঘটনার পর ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ সহায়তাও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।” 

আর এমনটি ঘটলে ইউক্রেনের সামরিক সহায়তার প্রাথমিক উৎস হবে ইউক্রেন ডিফেন্স কন্টাক্ট গ্রুপ (ইউডিসিজি), যা ২০২২ সালের এপ্রিলে গঠিত প্রায় ৫০টি দেশের একটি জোট।

গত মাসে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন এক ঘোষণায় বলেছে, তারা ইউডিসিজি-এর নেতৃত্ব যুক্তরাজ্যের কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছে।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়