ইউক্রেন যুদ্ধে সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করল উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করেছে যে, দেশটি ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করার জন্য তাদের সেনা পাঠিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ দেশটির নেতা কিমকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, “ইউক্রেনীয় নব্য-নাৎসি দখলদারদের নির্মূল ও নিশ্চিহ্ন করার জন্য এবং রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগিতায় কুরস্ক অঞ্চল মুক্ত করার জন্য সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।”
কিম বলেছেন, “যারা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করেছিলেন তারা সকলেই বীর এবং মাতৃভূমির সম্মানের প্রতিনিধি।”
কিম আরো বলেছেন, “ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছেন তাদের সম্মান জানাতে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে শিগগিরই একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হবে।”
কেসিএনএ জানিয়েছে, ‘উত্তর কোরিয়া রাশিয়ান ফেডারেশনের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রের সঙ্গে জোট বাঁধাকে সম্মানের বিষয় বলে মনে করে।’
রাশিয়ার চিফ অব স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ ‘উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের বীরত্বের’ প্রশংসা করার পর উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে এমন প্রতিক্রিয়া এলো।
মস্কোও এই প্রথম প্রকাশ্যে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের অংশগ্রহণ স্বীকার করলো।
গেরাসিমভ জানান, রাশিয়া কুরস্ক অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে। তবে ইউক্রেন এটি অস্বীকার করেছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং কিম গত বছরের জুনে একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এতে যুদ্ধের ক্ষেত্রে উভয় দেশ একে অপরের সামরিক সহায়তায় এগিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেয়।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এই বছরের শুরুতে বলেছেন, প্রায় ১৪ হাজার উত্তর কোরিয়ানকে তাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে মোতায়েন করা হয়েছিল।
ঢাকা/ফিরোজ