ভারতের বেশিরভাগ হামলা প্রতিহতের দাবি পাকিস্তানের
পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারত গতকাল শুক্রবার পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে, যার মধ্যে রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে একটি বিমানঘাঁটিও রয়েছে। খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের।
শনিবার (১০ মে) পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, “বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই প্রতিহত করা হয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নেমে এসেছে তাতে কোনো ক্ষতি হয়নি।”
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত লাইভ অনুষ্ঠানে চৌধুরী বলেন, “ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের নূর খান বিমান ঘাঁটি, শোরকোট বিমান ঘাঁটি এবং মুরিদ বিমান ঘাঁটিতে হামলা করেছে, সবই প্রতিহত করা হয়েছে। ভারত আফগানিস্তানেও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।”
সামরিক মুখপাত্র আরো বলেন, “পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শোরকোটের রফিকি বিমান ঘাঁটিতে ছোড়া ভারতীয় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে প্রতিহত করেছে।”
নূর খান বিমানঘাঁটি রাওয়ালপিন্ডি শহরে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের কাছে অবস্থিত। ইসলামাবাদ থেকে আসা-যাওয়ার সময় বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই বিমানঘাঁটি ব্যবহার করে থাকেন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১০ মে) সকালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “পাকিস্তান জবাব দেয়!!”
ইসলামাবাদ তাদের প্রতিশোধকে ‘অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুস’ বলে অভিহিত করেছে।
এই অভিযানের নামকরণ করা হয়েছে, পবিত্র কোরআনের একটি আয়াতের নামানুসারে, যার অর্থ ‘অটুট প্রাচীর’।
পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা ভারত ও ভারত-শাসিত কাশ্মীরের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে- ব্রিগেড সদর দপ্তর কেজি টপ, ফিল্ড সাপ্লাই ডিপো উরি, আর্টিলারি গান পজিশন ডেরাঙ্গিয়ারি, ব্রাহ্মস ব্যাটারি সাইট নাগরোটা এবং উধমপুর বিমান বাহিনী স্টেশন।
ভারতীয় এই সামরিক স্থাপনাগুলো নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদের মধ্যে বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলকে বিভক্তকারী ডি-ফ্যাক্টো সীমান্তের কাছাকাছি বা পাশে অবস্থিত।
ঢাকা/ফিরোজ