ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বাংলাদেশের মানচিত্র শেয়ার করে বিতর্কিত মন্তব্য আসামের মুখ্যমন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ২৬ মে ২০২৫   আপডেট: ১৪:২৫, ২৬ মে ২০২৫
বাংলাদেশের মানচিত্র শেয়ার করে বিতর্কিত মন্তব্য আসামের মুখ্যমন্ত্রীর

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বাংলাদেশের মানচিত্র নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। 

রবিবার (২৫ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বাংলাদেশের মানচিত্রের ছবি পোস্ট করে তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের নিজস্ব দুটি ‘চিকেন নেক’ রয়েছে, যেগুলো ভারতের শিলিগুড়ির চেয়ে আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

আরো পড়ুন:

এমনকি রংপুর আর চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।

খবরে বলা হয়েছে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রবিবার বাংলাদেশের উদ্দেশে ‘কড়া প্রতিক্রিয়া’ জানিয়ে বলেন, “যারা ভারতের ‘চিকেন নেক’ করিডোর নিয়ে বারবার হুমকি দেন, তাদের মনে রাখা উচিত- বাংলাদেশের নিজস্বও দুটি ‘চিকেন নেক’ রয়েছে, যেগুলো নিরাপত্তার দিক থেকে আরো বেশি স্পর্শকাতর।”

“যার প্রথমটি উত্তর বাংলাদেশ করিডোর (প্রথম ‘চিকেন নেক’)। এ করিডোরটি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ। ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত দক্ষিণ-পশ্চিম গারো হিলস পর্যন্ত বিস্তৃত।”

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দাবি, এ পথ বাধাগ্রস্ত হলে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

“আর দ্বিতীয় করিডোরটি (চট্টগ্রাম করিডোর বা দ্বিতীয় ‘চিকেন নেক’) আরো ছোট- মাত্র ২৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকে রাজনৈতিক রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যুক্ত করে।”

হিমন্তের দাবি, ‘চট্টগ্রাম বন্দর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে অর্থনৈতিক রাজধানী চট্টগ্রামের সঙ্গে রাজনৈতিক রাজধানী ঢাকাও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। 

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমি শুধু ভৌগোলিক বাস্তবতা তুলে ধরেছি, যেগুলো বাংলাদেশ হয়তো ভুলে গেছে।বাংলাদেশ যদি কখনো ভারতের চিকেন নেক করিডোরে আক্রমণ করার কথা ভাবে, তাহলে ভারত তাদের উভয় চিকেন নেককেই লক্ষ্য করে প্রতিশোধ নেবে।”

মূলত ভারতের শিলিগুড়ি করিডোরকেই বলা হয় ‘চিকেন নেক’। এটি মাত্র ২০ কিলোমিটার প্রশস্ত এবং পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে অবস্থিত। এই করিডোর দিয়েই ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যে রেল ও সড়কপথে যোগাযোগ করা হয়। করিডোরটির উত্তরে নেপাল ও ভুটান, আর দক্ষিণে বাংলাদেশ।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়