‘ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া’
ইউক্রেনে রাশিয়ার নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহারের প্রমাণ সংগ্রহ করেছে ডাচ এবং জার্মান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এসব রাসায়নিক অস্ত্রের এমন একটি অস্ত্র রয়েছে যেটি ড্রোন থেকে ফেলা হয়েছিল। এতে শ্বাসরোধকারী উপাদান ছিল যেটি ফেলে সেনাদের পরিখা থেকে বের করে আনা হয়, যাতে তাদের গুলি করা যায়। শুক্রবার দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
ডাচ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুবেন ব্রেকেলম্যানস মস্কোর বিরুদ্ধে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “এই তীব্রতা উদ্বেগজনক। কারণ এটি এমন একটি প্রবণতার অংশ যা আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করছি, যেখানে এই যুদ্ধে রাশিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার আরো স্বাভাবিক, মানসম্মত এবং ব্যাপক হয়ে উঠছে।”
জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থা বিএনডি এই অনুসন্ধানের সত্যতা নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ডাচ প্রতিপক্ষদের সাথে এই প্রমাণ পেয়েছে।
ডাচ সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার (এমআইভিডি) প্রধান পিটার রিসিঙ্ক বলেছেন, এই সিদ্ধান্তগুলো “আমাদের নিজস্ব স্বাধীন গোয়েন্দা তথ্য অনুসরণ করে, তাই আমরা আমাদের নিজস্ব তদন্তের ভিত্তিতে এটি নিজেরাই পর্যবেক্ষণ করেছি।”
গত বছরের মে মাসে জার্মানি প্রথমবারের মতো ইউক্রেন যুদ্ধে ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহারের ব্যাপারে রাশিয়াকে অভিযুক্ত করে। ইউক্রেন রাশিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের হাজার হাজার ঘটনা উল্লেখ করেছে।
তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে এবং ইউক্রেনকে তা করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
ঢাকা/শাহেদ