হামাস যা চাচ্ছে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব এখনো পর্যালোচনা করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির জন্য তাদের তিনটি প্রধান শর্ত রয়েছে।
হামাসের প্রথম শর্ত হচ্ছে, মার্কিন-ইসরায়েল মদদপুষ্ট গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। কারণ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই ফাউন্ডেশনের বিতরণ কেন্দ্রে সাহায্য চাইতে গিয়ে কমপক্ষে ৭৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জুনের শেষের দিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছিল, খাবারের জন্য অপেক্ষারত নিরস্ত্র মানুষদের উপর গুলি চালাতে ইসরায়েলি সেনাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাদের কমান্ডাররা।
হামাসের দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চলতি বছরের মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের আগে যে অবস্থানে ছিল, সেখানেই ফিরে যাক। মে মাসে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় ব্যাপক নতুন স্থল অভিযান শুরু করে, যেখানে শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হয়, যাতে উপত্যকার বিশাল অংশের ‘কার্যক্ষম নিয়ন্ত্রণ’ নেওয়া যায়। যুদ্ধ শুরু করার পরপরই ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই নেটজারিম করিডোর তৈরি করে, যা গাজা উপত্যকাকে উত্তর ও দক্ষিণ সেক্টরে বিভক্ত করে এবং এপ্রিল মাসে নেতানিয়াহু দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় চিকেন করিডোর তৈরির ঘোষণা দেন।
হামাসের তৃতীয় শর্ত হচ্ছে, তারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘিত হবে না সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা চায়। মার্চ মাসে ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছিল। হামাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিশ্চয়তা চায় যে ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং স্থল অভিযান যুদ্ধের স্থায়ী অবসান ছাড়াই যুদ্ধবিরতি শেষ হলেও পুনরায় শুরু হবে না।
ঢাকা/শাহেদ