ইসরায়েলে সাবমেরিন সরবরাহের অনুমোদন দিল জার্মানি
জার্মানি ইসরায়েলের কাছে একটি উন্নতমানের সাবমেরিন সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে। যদিও জার্মান সরকার মাত্র কয়েকদিন আগেই ইসরায়েলে সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। খবর আনাদোলুর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবমেরিনটির নির্মাতা কোম্পানি থাইসেনক্রুপ গত শুক্রবার বার্ষিক সাধারণ সভায় এই পরিকল্পিত রপ্তানি নিশ্চিত করেছে।
গত ৮ আগস্ট জার্মানি ঘোষণা করেছিল যে, গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে এমন কোনো সামরিক সরঞ্জাম ইসরায়েলে রপ্তানি করা হবে না। তবে, সাবমেরিন সরবরাহ অনুমোদন জার্মানির ঐতিহাসিক মিত্রতা এবং সাম্প্রতিক নীতি পরিবর্তনের দ্বৈত অবস্থান প্রকাশ করছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বার্লিনে সরকারি প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড্যানিয়েল গ্রেভ এই নির্দিষ্ট ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করেননি।
ড্যানিয়েল গ্রেভ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি এখানে ভিন্ন ভিন্ন সব ইস্যুতে মন্তব্য করতে পারছি না...সাধারণত ফেডারেল সরকার ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতি এবং বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতি বিবেচনা করে অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয়।”
ইসরায়েলের জন্য ষষ্ঠ ডলফিন-ক্লাস সাবমেরিন আইএনএস ড্রাকন সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে জার্মানি। গত সপ্তাহের শুরুতে সাবমেরিনটি বাল্টিক সাগরের রুগেন দ্বীপে সমুদ্র পরীক্ষায় দেখা গেছে।
সাবমেরিন ক্রয়ের চুক্তি ২০১২ সালে স্বাক্ষরিত হয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ফেডারেল সিকিউরিটি কাউন্সিল সরবরাহের জন্য সবুজ সংকেত দেয়। তবে জার্মান অর্থনীতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফেডারেল অফিস ফর ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট কন্ট্রোল থেকে প্রয়োজনীয় রপ্তানি লাইসেন্স স্থগিত ছিল। সাবমেরিনটির মোট ক্রয়মূল্য প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৫৮৫.৮ মিলিয়ন ডলার), যার মধ্যে জার্মান সরকারের অবদান ছিল ১৩৫ মিলিয়ন ইউরো।
সাবমেরিন চুক্তি ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি বিচার বিভাগীয় তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। একটি তদন্ত কমিশন জার্মান অস্ত্র প্রস্তুতকারক থাইসেনক্রুপ মেরিন সিস্টেমসের সঙ্গে চুক্তিগুলো খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও পুলিশের সামনে সাক্ষ্য দিয়েছেন। জার্মান পাবলিক ব্রডকাস্টার নর্ডডয়েচার রুন্ডফাঙ্ক সম্প্রতি বিস্তৃত তদন্ত প্রকাশ করেছে, যেখানে টিকেএমএসের চুক্তি এবং নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাৎক্ষণিক স্বার্থের দ্বন্দ্ব তুলে ধরা হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ