পাকিস্তানে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ১৯৮ জন নিহত
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাতজনিত ঘটনায় কমপক্ষে ১৯৮ জন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
জুনের শেষের দিক থেকে পাকিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টিপাত- বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং উত্তরাঞ্চলে - ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধস ও বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) থেকে আপডেট করা দৈনিক তথ্য অনুসারে, ২৬ জুন থেকে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি অংশে আকস্মিক বন্যা ও মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে ১৪২ জন শিশু সহ কমপক্ষে ৩২৫ জন মারা গেছেন। এছাড়া ৭৪৩ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশব্যাপী নিহতদের মধ্যে ১৭২ জন পুরুষ, ১৪ জন মহিলা এবং ১২ জন শিশু রয়েছে।
পিডিএমএ -এর দেওয়া তথ্য অনুসারে, বুনারে সবচেয়ে বেশি-৯১ জন মারা গেছেন।বন্যায় ৪৫টি বাড়ি, তিনটি স্কুল এবং আটটি অন্যান্য স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে, যার মধ্যে কেবল সোয়াতেই ২৬টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
বটগ্রামে ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন; মানশেরাতে ১৪ জন, লোয়ার দিরে পাঁচজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন; সোয়াতের চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে; শাংলায় একজন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন।
রেসকিউ ১১২২ এর মুখপাত্র বিলাল আহমেদ ফৈজি ডন ডটকমকে বলেন, “আজ সকালে বাজাউরে, সালারজাই তহসিলের জাবররাই গ্রামে মেঘ ভাঙনের (ভারী বৃষ্টিপাত) কারণে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।”
এদিকে, উদ্ধার অভিযান পরিচালনার সময় একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে পাঁচ ক্রু নিহত হয়েছেন।
সন্ধ্যায় প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর বলেছেন,“প্রাদেশিক সরকারের দুটি হেলিকপ্টার মানুষকে উদ্ধারে কাজ করছিল, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে এই হেলিকপ্টারগুলোর মধ্যে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়। পাঁচজন ক্রু সদস্য শহীদ হন।”
ঢাকা/শাহেদ