ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

গাজাকে পর্যটন কেন্দ্র বানানোর পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৬, ৩১ আগস্ট ২০২৫  
গাজাকে পর্যটন কেন্দ্র বানানোর পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের মধ্যে গাজার জন্য একটি যুদ্ধ পরবর্তী পরিকল্পনা প্রচারিত হচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, কমপক্ষে এক দশক ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিটমহলটি পরিচালনা করা, গাজার জনসংখ্যার অস্থায়ী স্থানান্তর এবং গাজাকে পর্যটন কেন্দ্র এবং উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে পুনর্নির্মাণ করা। রবিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে

ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে যে, ৩৮ পৃষ্ঠার একটি প্রসপেক্টাস অনুসারে, গাজার ২০ লাখ মানুষ ‘স্বেচ্ছায়’ অন্য দেশে চলে যাবে অথবা পুনর্গঠনের সময় অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ এলাকায় যাবে।

রয়টার্স এর আগে জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনিদের থাকার জন্য গাজার ভেতরে এবং সম্ভবত বাইরে ‘হিউম্যানিটেরিয়ান ট্রানজিট এরিয়া’ নামে বৃহৎ আকারের শিবির নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে। বিতর্কিত মার্কিন ত্রাণ বিতরণ গোষ্ঠীগাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেউ জমির মালিক হলে তাকে তাদের সম্পত্তি পুনর্নির্মাণের অধিকারের বিনিময়ে একটি ‘ডিজিটাল টোকেন’ দেওয়া হবে। যে ফিলিস্তিনিরা চলে যাবে তাদের চার বছরের ভাড়া মেটাতে পাঁচ হাজার ডলার নগদ এবং ভর্তুকি দেওয়া হবে। তাদের এক বছরের খাবারও দেওয়া হবে।

এই পরিকল্পনাটির নাম ‘গাজা পুনর্গঠন, অর্থনৈতিক ত্বরণ এবং রূপান্তর ট্রাস্ট, বা গ্রেট ট্রাস্ট।’ এটি জিএইচএফ তৈরি করেছে। এই জিএইচএফ হচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠান যেটি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাথে সমন্বয় সাধন করে এবং গাজায় খাদ্য সহায়তা পৌঁছানোর জন্য বেসরকারি মার্কিন নিরাপত্তা ও সরবরাহ সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করে। 

আগস্টের শুরুতে, জাতিসংঘ জানিয়েছিল, ২০২৫ সালের মে মাসে জিএইচএফ কাজ শুরু করার পর থেকে গাজায় সাহায্য পেতে গিয়ে এক হাজার জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই জিএইচএফ সাইটের কাছে কর্মরত ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে।

হোয়াইট হাউস এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি। তবে গাজা পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনাটি ট্রাম্পের পূর্ববর্তী মন্তব্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়