ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করা ৬ ভারতীয়কে ফেরাতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ

কলকাতা ব্যুরো || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৯:২৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করা ৬ ভারতীয়কে ফেরাতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ

বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে পুশ ব্যাক করা ছয় ভারতীয় নাগরিককে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। 

বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এই নির্দেশ দিয়েছে।

আরো পড়ুন:

আদালত জানিয়েছে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বীরভূম জেলার দুই পরিবারের মোট ছয় সদস্যকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের মধ্যে সোনালী বিবি নামে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীও রয়েছেন।

সোনালি ও তার পরিবার দিল্লির রোহিণীতে প্রায় দুই দশক ধরে কাগজ কুড়োনো ও গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। পরিবারের অভিযোগ, জুন মাসে দিল্লি পুলিশ বাংলাদেশি সন্দেহে ঘর থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায় এবং পরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।

গত ২৯ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সোনালির পুশ ব্যাক নিয়ে করা হেবিয়াস কর্পাস মামলা শুনবে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মামলাতেই শুক্রবার ছয় ভুক্তভোগীকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ আপাতত মুলতবি রাখার আবেদন জানায় কেন্দ্র। ওই আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত।

বিজেপি সরকার সোনালি বিবিসহ এই ছয়জনকে বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে বাংলাদেশে পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এদিন সেই পদক্ষেপের সমালোচনা করে আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণিত এবং তাদের দেশে ফেরানোর দায়িত্ব সরকারের।

কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এদিন শুনানি পর্বেই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তীর বক্তব্য, ঘটনা দিল্লিতে ঘটেছে, তাই কলকাতা হাইকোর্টের এখতিয়ার নেই। তিনি অভিযোগ করেন, নাগরিকত্ব-সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রাখা হয়েছে এবং এই মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। 

দিল্লি পুলিশের আইনজীবীর দাবি, সোনালির পরিবার এখনো পর্যন্ত হলফনামায় প্রমাণ করেনি যে, তারা বাংলাদেশি নন।

পাল্টা বক্তব্যে বিচারপতি চক্রবর্তী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আটকের নির্দেশে লেখা আছে, তাদের বাঙালি বস্তি থেকে আনা হয়েছে। কেবল তাই বলে কি বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করবেন?”

শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, আইন অনুযায়ী অন্তত ৩০ দিন আটক রেখে তদন্ত করা দরকার। অথচ সোনালি বিবিকে ২৬ জুন বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। আদালতের প্রশ্ন ছিল, মাত্র দুই দিনে কীভাবে সিদ্ধান্ত হলো তারা বাংলাদেশি? এত তাড়াহুড়া কেন করা হলো?

বেঞ্চ মামলাকারীর আইনজীবীদেরও প্রশ্ন করে জানায়, দেশ থেকে বহিষ্কারের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। তাই কোন ভিত্তিতে আদালত নির্দেশ দেবে, তা স্পষ্ট করতে হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/শাহেদ/রাসেল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়