ফ্লোটিলার আটক অধিকারকর্মীরা ইসরায়েলি বন্দরে বন্দি
সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা টুনবার্গসহ আটক অধিকারকর্মীদের নেওয়া হয়েছে আশদোদ বন্দরে
ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ১৩টি নৌযান আটক করেছে এবং প্রায় ২০০ জনকে আটক করেছে। তাদেরকে নেওয়া হয়েছে আশদোদ বন্দরে। এ বন্দরের অবস্থান গাজার উপকূল থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে।
আটককৃতদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা টুনবার্গসহ বিভিন্ন দেশের আইনজীবী, সংসদ সদস্য ও মানবাধিকার কর্মীরা রয়েছেন। তাদেরকে এখন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
গাজামুখী নৌযানে ইসরায়েলের হস্তক্ষেপের খবর প্রথমে জানানো হয় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার পক্ষ থেকে।
পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, “হামাস–সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান নিরাপদভাবে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর আরোহীদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে। গ্রেটা ও তাঁর বন্ধুরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।’”
মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে গ্রেটা টুনবার্গসহ অন্যান্যদের নৌযান থেকে নামিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এই নৌবহরের ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসরায়েল। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, এই নৌবহর মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কোনো মিশন নয়, বরং কেবলমাত্র রাজনৈতিক প্ররোচনার উদ্দেশ্যে পরিচালিত।
এদিকে, গাজাগামী নৌবহরে থাকা কর্মীদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সেনারা সহিংসতা চালাবে না বলে জানিয়েছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তায়ানি। ইতালির টেলিভিশন সম্প্রচারক রাই–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তায়ানি জানান, তিনি এ বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সাআরের সঙ্গে কথা বলেছেন।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, “ফ্লোটিলার নৌযানে থাকা কর্মীদের এখন ইসরায়েলের আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।”
তবে ‘ইয়ম কিপুর’ উপলক্ষে ছুটি থাকায় ইসরায়েলের প্রায় সব ধরনের সরকারি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “কোনো অংশগ্রহণকারীর উদ্দেশ্য যদি কেবল মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য করা নাটক হয়, তাহলে সক্রিয় যুদ্ধের কাছে এসে আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করতে পারবে না।”
নৌযানের আরোহীদের আটকের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। আন্তর্জাতিক জলসীমায় তাদের ওপর ইসরায়েলের হস্তক্ষেপের বিষয়ে এক্সে এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, “ন্যায়ের পক্ষে কথা বলা মানুষদের অপহরণ করা হয়েছে। ফ্লোটিলা কোনো আইন ভাঙেনি। যেটি অবৈধ, তা হলো ইসরায়েলের জাতিগত নিধন, অবৈধ গাজা অবরোধ এবং অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার।”
ঢাকা/ইভা