মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে ধোঁয়াশা
ফিলিস্তিনের শাসক গোষ্ঠী হামাস আজ সোমবার দুপুরে দ্বিতীয় দফায় গাজা থেকে ১৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে সোমবার সকালে প্রথমে সাতজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। সর্বশেষ ১৩ জনকে মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে গাজায় জীবিত থাকা সব ইসরায়েলি জিম্মিকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। খবর আল জাজিরার।
তবে এখনও পর্যন্ত মৃত ২৮ জন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেনি হামাস। মৃত জিম্মিদের মধ্যে কতজনের মরদেহ আজ হস্তান্তর করা হবে তা স্পষ্ট নয়।
আলজাজিরার প্রতিবেদন বলছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ, মার্কিন পক্ষ এবং মধ্যস্থতাকারীরা আগে থেকেই জানত যে, সবার মরদেহ ফিরে আজ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজা ভূখণ্ডের প্রায় ৫৩ শতাংশ এখনও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুই বছরের যুদ্ধে ইসরায়েল বাহিনী পুরো গাজা উপত্যাকাকে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে।
এ কারণে মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ খুঁজে বের করতে সমস্যায় পড়তে পারে হামাস। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মরদেহগুলো উদ্ধার করা, তারা কোথায় আছে তা জানা, তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা বেশ কঠিন একটি কাজ। এ কাজে বাইরের বিশেষজ্ঞদের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় আজ প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ও গাজা থেকে আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইসরায়েল।
আলজাজিরা জানিয়েছে, কিছুক্ষণ আগে ইসরায়েলের ওফার কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে দুটি বাস ও রেড ক্রসের গাড়ি বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে।
ঢাকা/ফিরোজ